Shares 2
ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আর১৫ ভি.১ নিয়ে রিভিউ – পিয়াস জিআরজেড(GRZ )
Last updated on 03-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
বর্তমানে স্পোর্টস বাইকের বাজারে রাজা হল ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ ভার্সন ১ যেটা আমাদের দেশের স্পোর্টস বাইকের বাজারে একটি পুরানো যোদ্ধা । যদিও এর ইঞ্জিনটি বাজাজ পালসার ২২০ সিসির তুলনায় কিছুটা ছোট কিন্তু এটি এর উচ্চ কার্যক্ষমতার কারণে এটি বাংলাদেশের বাইকের বাজারে একটি ভিন্ন ধারার সৃষ্টি করেছে । ইয়ামাহা বাইকটির ফ্যাশন ও ডিজাইন সম্পর্কে জানানোর পর জোর গুঞ্জন উঠে যে এটা আবার প্রমাণিত হবে ইয়ামাহার ফ্যাশন ও ডিজাইনের কোন বিকল্প নেই ।
ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আর১৫ ভি.১ নিয়ে রিভিউ
প্রিয় বাইকবিডি.কম এর পাঠকেরা আমার নাম পিয়াস জিআরজেড (GRZ), আমি বিডি গোস্ট রাইডার্স (BD GHOST RIDERZ) এর প্রতিষ্ঠাতা। আমরা বাংলাদেশের প্রথম ও বর্তমানে একমাত্র সংঘটিত স্টান্ট দল । আমি এবং আমার বন্ধুরা এই ক্লাবটি গড়ে তুলেছি মূলত মজা করার জন্য এবং যে কাজটি আমরা করতে সবচেয়ে ভালবাসি সেটা করার জন্য । আমরা ক্লাবটি গড়ে তুলেছি শুধুমাত্র আমরা যাতে একসাথে মজা করতে পারি সে জন্য এবং আমরা যাতে একসাথে আমাদের বাইকের সাহায্যে স্টান্ট অনুশীলন করতে পারি সে জন্য । আমি আমার দুই চাকার বিস্ময়টি কিনি ২০১০ সালের এপ্রিলে । সেটা ছিল প্রথমবারের মত আমার বাইকটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে দেখা । এটা ছিল সন্তুষ্টির মূর্ত প্রতীক ।
আমি এই বাইকটি কিনেছিলাম কারণ এটি ছিল বাংলাদেশের একমাত্র স্পোর্টস লুকের বাইক এবং এতে আছে আরটি, এর মানে রেসিং টেকনোলজি যা হালকা ওজনের অন্যান্য রেসিং বাইকের থাকে । এছাড়াও এ বাইকটি দেখতে রেসিং সার্কিটে ব্যবহৃত বাইকগুলোর মত । কারখানাতে পরীক্ষিত এর ১৪৯ সিসির ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ক্ষমতা তৈরী করে । এর ইলেকট্রনিক জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জ্বালানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে এবং এতে থাকা টার্বো বুস্টারের কারনে এ বাইকটির সাহায্যে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তোলা যায় । ব্যক্তিগতভাবে আমি ঢাকা-রাজশাহী হাইওয়েতে ১৪৩ কিলোমিটার গতি পেয়েছি । আজ আমি আমার পছন্দের বাইকটি সম্পর্কে সবকিছু এই মুহূর্তে যারা ইন্টারনেটে আছে তাদের জন্য তুলে ধরব ।
ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ ভার্সন১ এর লুক ও ডিজাইনঃ
এই বাইকটির দিকে তাকালে প্রথমেই যে জিনিসটি আমাদের মাথায় আসে সেটা হল বাইকটি দেখতে অসাধারন । সত্যি কথা বলতে কি বাইকটি বাংলাদেশের বাইক চালকদের মানসিকতাই পরিবর্তন করে দিয়েছে যে ১৫০ সিসি বাইক আর তাদের জন্য যথেষ্ট নয় । এ বাইকটির মাধ্যমে ইয়ামাহা আবারও প্রমাণ করেছে যে বাইকের জগতে তারা যখন যেভাবে চায় সেভাবেই রাজত্ব করতে পারে । এ বাইকটির একটি আক্রমণাত্মক লুক রয়েছে, বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ১৫০ সিসি সিরিজের বাইকগুলোর মধ্যে এটির লুকই সবচেয়ে সুন্দর । এর ডিজাইনটি ইয়ামাহা আর১ থেকে অনুকরন করা হয়েছে এবং এর রয়েছে চমৎকার এরোডাইনামিকস এর সাথে ডেলটা বক্স ফ্রেম যার সাহায্যে খুব সহজেই ১০০+ গতি উপভোগ করা যায়।
ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আর১৫ ভার্সন ১ এর ইঞ্জিনঃ
বাইকটির রয়েছে একটি ১৫০ সিসির লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন, অনেক লোকই মনে করে যে ১৫০সিসি ইঞ্জিন অনুযায়ী দাম বাইকটির সাথে যায় না কিন্তু তারা এটা জানে না যে ফ্যাক্টরির লোকজন এটাকে সর্বোচ্চ সংখ্যকবার পরীক্ষা করেছে এবং এটাকে প্রযুক্তিগতভাবে সর্বাধিক উন্নত বাইক হিসেবে ঘোষণা করেছে । এর রয়েছে সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইনজেকশন ইঞ্জিন যেটার মাধ্যমে সর্বাধিক জ্বালানী সাস্রয় নিশ্চিত হয় এবং সর্বনিন্ম পরিমাণ জ্বালানীর নিঃসরণ ঘটে । এটি হল এক সিলিন্ডার বিশিষ্ট ৪ ভালভের ইঞ্জিন এবং এতে রয়েছে সবচেয়ে ভালোভাবে বায়ু ও জ্বালানী মিশ্রিত হওয়ার ব্যবস্থা । আমরা যেটা জানি সেটা হল ইঞ্জিন যদি গরম হয়ে যায় তবে এর জ্বালানী দক্ষতা ও কার্যক্ষমতা উভয়ই কমে যায়। তাই ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এমনকি উচ্চ আরপিএমে ও । বাইকে স্থাপিত রেডিয়েটর (ইঞ্জিন ঠাণ্ডা করার যন্ত্র) ইঞ্জিন ঠাণ্ডা করার কাজটি অত্যন্ত চমৎকারভাবে সম্পন্ন করে । কারণ ইঞ্জিন চালু করার সাথে সাথেই ঠাণ্ডাকারক পদার্থ একই সাথে রেডিয়েটর ও ইঞ্জিনের মধ্যে চালিত হয় ।
বাইকটি ৮৫০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ১৭ পিএস শক্তি উৎপন্ন করতে পারে এবং ৭৫০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ১৫ টর্ক শক্তি উৎপন্ন করতে পারে । বাইকটির কিক স্টার্ট নেই তাই আপনি অবশ্যই ইলেকট্রিক স্টার্টের জন্য খুশি হবেন এবং এটা আপনাকে কখনো হতাশ করবে না । বাইকটির জ্বালানী ধারনক্ষমতা ১২ লিটার । বাইকটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর ট্রান্সমিশন কারণ এতে রয়েছে ৬-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন । এর গিয়ার শিফট অত্যন্ত মসৃণ যদিও এটা মাঝে মাঝে আপনাকে বিরক্ত করতে পারে কিন্তু এটা ব্যবহার করতে আপনার কখনো সমস্যা হবে না ।
নিয়ন্ত্রণ ও চালানোর ব্যবস্থাঃ
আমরা জানি যে বাইকটি ইয়ামাহা আর১ এর অনুকরনে বানানো হয়েছে । তাই এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যে নিখুঁত তা বলার অপেক্ষা রাখে না । এটি উচ্চ গতিতেও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় এমনকি শহরের যানজটে কম গতিতেও এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত চমৎকার । বাইকটির জন্য বিশেষভাবে তৈরী এমআরএফ টায়ার চমৎকার কাজ করে যদিও অনেক লোক বলে যে টায়ারগুলো আরও বড় হতে পারত কিন্তু বিশ্বাস করুন টায়ারগুলো রাস্তায় চমৎকার গ্রিপ দেয় । এর চালানোর অবস্থান খুবই স্পোর্টিং যদিও আপনার কখনো কখনো অস্বস্তিকর লাগতে পারে কিন্তু এতে চড়ার সময় আপনার মনে হবে আপনি যেন স্পোর্ট বাইকে চড়ছেন । মাত্র ১৬৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এর কারণে যেকোনো মাটিতেই এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অসাধারন ।
কার্যক্ষমতাঃ
উচ্চ গতিতে বাইকটি চালানোর সময় মনে হয় এটি যেন সকল বাধাবিপত্তি ভেঙে চুরমার করে এগিয়ে যাচ্ছে । শহরের যানজটপূর্ণ রাস্তায় বেশি শক্তি প্রয়োগ করবেন না কিন্তু উচু গিয়ারে চালালে আপনি একটি ধক্কা খাবেন এর উচ্চ ক্ষমতার কারণে । লোকজন বলে যে বাইকটি প্রচুর শব্দ উৎপন্ন করে কিন্তু ঐ বোকারা জানেনা যে এটা শব্দ নয় এটা হল সঙ্গীত । এর ইঞ্জিনের শব্দ অসাধারন । এর টর্কের অনুপাত প্রায় ২০০ সিসি বাইকের সমান । দুই চাকার গাড়িগুলোর মধ্যে এটি একটি বিস্ময় কারণ এটি ৮৫০০ আরপিএমে এ ১৭ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন করে । এটি মাত্র ৫ সেকেন্ডেই ০-৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে ।
মাইলেজ ও রক্ষনাবেক্ষনঃ
এই বাইকটি হতে প্রতি লিটারে ৩৫ কিলোমিটারের মত মাইলেজ পাওয়া যায় এ ধরনের বাইক হতে আপনি ৫০ বা ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ আশা করতে পারেন না । আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে চালান তাহলে আপনি প্রতি লিটারে ৩৫+ কিলোমিটার মাইলেজ পেতে পারেন । বিস্ময়করভাবে বাইকটির কোন রক্ষনাবেক্ষন করতে হয় না এবং ইয়ামাহা বাইকটির জন্য ৬ টি ফ্রি সার্ভিসের ব্যবস্থা রেখেছে । তবে চেইনটি অবশ্যই নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে । প্রায় ৩ বছর পূর্বে আমি বাইকটিতে হাত দিয়েছিলাম । ওডোমিটার অনুযায়ী এটা প্রায় ২৪,৩৫০ কিলোমিটার চলেছে । তাই বাইকটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ।
ভালোদিকসমূহঃ
১. এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত চমৎকার ।এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সত্যিই অতুলনীয় ।
২. বাইকটির জ্বালানী দক্ষতা খুবই ভালো । এটা ধারাবাহিকভাবে প্রতি লিটারে ৩৫ কিলোমিটারের মত যায় । এটি প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ৩৮ কিলোমিটার এবং সর্বনিন্ম ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত যায় ।
৩. বাইকটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য । এটি আমাকে কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ফেলেনি ।
৪. এর টায়ার ভেজা রাস্তাতেও অত্যন্ত চমৎকার কাজ করে ।
৫. বাইকটির হালকা ওজন একে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক সাহায্য করে ।
খারাপদিকসমূহঃ
১. টায়ারগুলোর গ্রিপ যদিও চমৎকার কিন্তু এতে যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো অন্যান্য স্পোর্ট বাইকের তুলনায় কিছুটা নরম । নরম উপাদান ব্যবহার করলে টায়ারের গ্রিপ বাড়ে কিন্তু স্থায়িত্ব কমে যায় । বাইকটিকে আমি বিভিন্ন জটিল স্টান্টের কাজে ব্যবহার করি কিন্ত এর গ্রিপ কোন লক্ষণ ছাড়ায় হঠাৎ করে কমতে থাকে । টায়ারগুলো প্রচুর পাংচার হয় যদিও ভি.২ তে এমআরএফ টায়ার এর ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করেছে । একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল টায়ারগুলো কম পাওয়া যায় তাই কোথায় এ ধরনের টায়ার পাওয়া যায় তা না জানলে আপনার জন্য এ ধরনের টায়ার খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হতে পারে।
২. আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি স্টিয়ারিং এর আকার আকৃতি খুবই খোলামেলা ধরনের এবং এগুলো পরিবর্তনের খরচও অনেক । এটা নিশ্চিতভাবেই আপনার পকেটে বড় শুন্যস্থানের সৃষ্টি করবে । যদিওবা এটা নির্ভর করে সার্ভিস সেন্টার কি ধরনের চার্জ নেবে তার উপর তবুও একটি সম্পূর্ণ স্টিয়ারিং পরিবর্তন করতে আপনার ৮ হাজারের মত খরচ হবে ।
৩. আমার মতে রিমসগুলো দুর্বল । স্পোর্টস বাইক হিসেবে বিবেচনা করলে বলা যায় যে এর চাকাগুলো আরও হালকা হওয়া উচিত ছিল যদিও রাস্তায় চলার জন্য বিশেষ করে বাংলাদেশের ঢাকা শহরের রাস্তায় চলার জন্য এগুলো খুবএকটা উপযোগী নয়, বলা যায় খুবই বাজে ! যদিও ভালো খবর হচ্ছে ভার্সন২ তে নতুন রিমস ব্যবহার করা হচ্ছে ফলে আশা করা যায় যে এ সমস্যা আর থাকবে না । টঙ্গিতে স্থাপিত নতুন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলে আমি যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হল রিমসগুলো তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছে গলিত ধাতু যদিওবা তিনি আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে ভার্সন২ রিমসগুলো আরও অনেক ভালো হবে ।
৪. বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যান্য স্পোর্টস বাইকগুলোর কোয়ালিটি, নির্ভরযোগ্যতা ও পারফর্মেন্স এর সাথে তুলনা করে বলা যায় এর একমাত্র খারাপ দিক হল এর নির্ভরযোগ্যতা ।
সম্পূর্ণভাবে বলা যায় বাইকটির আকার খুবই ভালো । একে ধোয়ার পর যদি রঙ করা হয় তাহলে এটিকে একেবারে নতুনের মত দেখায় । এতে কোন কম্পন বা আওয়াজ খুব একটা নেই । জ্বালানী সাস্রয় ক্ষমতা যথেষ্ট ভালো । সম্পূর্ণভাবে নির্ভরযোগ্য । আমি জানি কোথায় এ বাইকের নতুন টায়ার পাওয়া যায় তাই এটা আমার জন্য কোন সমস্যা নয় । আপনি হয়ত আরপিএম মিটারে ৭কে রেখা অতিক্রম করেছেন কিন্তু তারপরেও আপনি দেখবেন যে পিছনে দেখার আয়নাতে অন্যান্য গাড়িগুলো হারিয়ে যাচ্ছে । বাইক চালকদের সকল সমস্যা/অভিযোগ ইয়ামাহা বিবেচনায় নিয়েছে এবং ভার্সন২ তে তারা পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । এতে ভার্সন১ এর তুলনায় পেছনের চাকা প্রসস্থ থাকবে। ইয়ামাহা কিছু জিনিসের দাম কমিয়ে দিয়েছে যেমন ব্রেক প্যাড, অয়েল ফিল্টার ইত্যাদি । ভার্সন২ তে এমআরএফের তৈরী নতুন টায়ার ব্যবহার করা হচ্ছে । তাই আমার মতামত হল ভার্সন২, ভার্সন১ এর তুলনায় অনেক বেশী সুসজ্জিত হবে এবং আপনারা আমার কথার উপর আস্থা রাখতে পারেন ।
ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ ভার্সন ১ সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা এতটুকুই । আশা করি বাইকবিডি-র পাঠকেরা লেখাটি উপভোগ করবে । আমি আপনাদের মূল্যবান মতামত আশা করছি ।
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Shuvo Bangla