Shares 2

Suzuki Gixxer SF ৯০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - শরিফ

Last updated on 11-Aug-2024 , By Shuvo Bangla

আমি মো: শরিফ  ,সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছি । আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার Suzuki Gixxer SF বাইকের মালিকানা রিভিউ । 

Suzuki Gixxer SF ৯০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ

আমার জীবনের প্রথম বাইক ছিল TVS Apache RTR 150।  ২০১৪ সাল থেকে TVS RTR ই ছিল আমার পথ চলার সঙ্গী। প্রায় ৭০ হাজার কিলোমিটার চালানোর পর, স্পোর্টস বাইকের প্রতি মনের মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণ জন্ম হয়। সেই থেকেই প্রতিনিয়ত ইউটিউবে এবং বাইক বিডি ওয়েবসাইটে নিয়মিত স্পোর্টস বাইকের  রিভিউ দেখা হতো। 

Suzuki Gixxer SF ৯০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - শরিফ

যেহেতু আমার প্রতিদিন প্রায় ৩০ কিলোমিটার বাইকে যাতায়াত করতে হয়, সুতরাং আমার মাইলেজ এবং কমফোর্ট এমন একটি বাইক দরকার ছিল। সবদিক বিবেচনা করে, আমি এই বাইকটি নির্বাচন করি কারণ এতে ছিল স্পোর্টস বাইকের পাশাপাশি কমিউটার বাইকের ছোঁয়া। 

৩ ই মার্চ ২০২৩, বাইক কেনার উদ্দেশ্যে চলে যাই সুজুকির শোরুম বাইপাইল জাপান বাইক সিটিতে, ওখানে ছিল নীল এবং কালো এই দুই রঙের বাইক। সব মিলিয়ে আমি নির্বাচন করি নীল রঙের এই বাইকটি । আমি বাইকটি ২,৯৮,০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। বাইকের সাথে ছিল দুইটি চাবি, একটি চাবির রিং, একটি সুজুকির টি-শার্ট। Manuals অনুযায়ী প্রথম দুই হাজার কিলোমিটার বাইকের আরপিএম ৪০০০-৫০০০ এর উপরে ওঠাইনি। 

প্রথম 300 কিলোমিটার পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি, সেই সাথে ৫০০ কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। আমি ব্যবহার করি Motul 10w40 ইঞ্জিন অয়েল। প্রথম ৩ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বাইক চালিয়ে কেমন যেন জ্যাম জ্যাম ফিল হচ্ছিল। বাইকের যখন তৃতীয় ফ্রী সার্ভিসটি করাই, এরপর থেকে বাইকের জেম জ্যাম ফিল টা দূর হয়ে যায়।

আমি বাইক নিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ  ৯৫ কিলোমিটার চালিয়েছিলাম। এখনো লং টুর দেয়ার কোন সুযোগ হয়নি। তবে সিটিতে, হাইওয়েতে এমনকি গ্রামের রাস্তাতেও রাইড করেছি। প্রথম প্রথম সিটিতে রাইড করার সময় হাতে এবং পিঠে খুব পেইন হতো। তবে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি । বাইকের লুকিং গ্লাসটি আমার কাছে একটু ছড়ানো মনে হয়েছিল, তাই আমি লুকিং গ্লাসটি পরিবর্তন করি। ৫০০০ কিলোমিটার চালানোর পর থেকে আমি বাইকে সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি।

প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সাথে সাথে অয়েল ফিল্টার ও পরিবর্তন করেছি । আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত বাইকে তেমন কোনো সমস্যা ফিল করিনি। তবে বাইকের স্টক হর্ন টা আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি, যার কারণে পরবর্তীতে আমি Denso Dual হর্ণ ইন্সটল করেছি। বাইকের চাকাগুলোর গ্রিপ আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। Suzuki Gixxer SF ৯০০০ কিলোমিটারSuzuki Gixxer SF বাইকের কিছু ভালো দিক - 

  • লুকিং অসাধারণ। 
  • কার্বুরেটর ইঞ্জিন হওয়া সত্ত্বেও ভালো মাইলেজ।
  • সাউন্ড অসাধারণ।
  • হেডলাইট আলো ভালো। 

Suzuki Gixxer SF বাইকের কিছু খারাপ দিক - 

  • বাইকের গিয়ার শিফটিং এর সাউন্ড টা খুব বাজে লাগে, বিশেষ করে সেকেন্ড গিয়ারটা খুব শক্ত। 
  • লুকিং গ্লাসটা খুব বড়, সিটিতে অন্য গাড়ির সাথে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • পিলিয়ন সিট তেমন আরামদায়ক নয়। 

এখন পর্যন্ত আমার সর্বোচ্চ গতি ছিল ১১৬ কিলোমিটার। আজ পর্যন্ত আমি রাইড করেছি ৯০০০ কিলোমিটার। সর্বোপরি সকল দিক বিবেচনায়, একটি স্পোর্টস বাইক হিসেবে স্বল্প বাজেটে এই বাইকটি আমার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে। যাদের স্পোর্টস বাইকে ব্যাক পেইন হয়, তাদের জন্য এই সেমি স্পোর্টস বাইকটির পারফেক্ট হবে।  ধন্যবাদ সবাইকে।

লিখেছেনঃ মো: শরিফ

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla