Shares 2
Honda X-Blade 160 বাইক নিয়ে ৮৬০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - রোমান
Last updated on 01-Aug-2024 , By Shuvo Bangla
আমার নাম মো: তানভীর রহমান রোমান। আমি উত্তরবঙ্গের বাহের দ্যাশের মানুষ। অর্থাৎ আমার বাড়ি রংপুর জেলায়। এবং আমি নীলফামারী জেলায় ইসলাম মটরস নামে একটি মোটরসাইকেলের শোরুমে জব করি। আজ আমি আপনাদেরকে আমি ও আমার Honda X-Blade 160 বাইকের সাথে তিন বছর নয় মাস এ ৮৬ হাজার এর বেশি কিলোমিটার পথ চলার গল্প বলব।
বাইক কে ভালোবাসা বা বাইকার হয়ে উঠার গল্প -
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু না কিছু শখ শৌখিনতে বা দূর্বলতা থাকে। ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি একরকম দূর্বলতা ছিল কিন্তু সেটা প্রকাশ পেয়েছে কর্মজীবনে এসে। ২০১৪ সালে বাইকিং পেশার সাথে যুক্ত হই। পেশাগত কারণে হোক বা নিজস্ব কৌতূহলের কারণে হোক ধীরে ধীরে মোটরসাইকেল বা বাইক সম্বন্ধে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করি বা অনলাইন অফলাইনে ঘাটাঘাটি করি।
এরপরই যতই এর সম্বন্ধে জানতে পারি ততই এর প্রতি দুর্বলতা ও ভালোবাসা বাড়তে থাকে। এবং এভাবেই মোটরসাইকেল বা বাইকিং জগৎটা পেশা থেকে নেশায় পরিণত হয় আমার কাছে। বাইকিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি হোন্ডা সিজি ১২৫ বাইকটি প্রায় আড়াই বছর চালিয়েছিলাম। সেটি আমার সেকেন্ড হ্যান্ড কেনা একটি বাইক ছিল।
সেকেন্ড হ্যান্ড হওয়া শর্তেও বাইকটি আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ তে নীলফামারীতে জয়েন করার পর আমি একটি ড্রিম নিও বাইক নেই। সেই বাইকটি আমি প্রায় তিন বছর চালিয়েছি এবং এই ড্রিম বাইক দিয়ে আমি রেগুলার নীলফামারী রংপুর যাতায়াত করতাম আর সেই বাইকটি দিয়ে আমার এক্সট্রিম কিছু ট্যুরের গল্প আছে।
তার মধ্যে অন্যতম ২০১৯ সালে আমি সেই ১১০ সিসি ড্রিম নিও বাইকটি দিয়ে ২৩ ঘন্টা ২০ মিনিটে তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে টেকনাফের সাবরাং বেরিবাধ পর্যন্ত কান্ট্রি ক্রস টুর কমপ্লিট করি। ড্রিম বাইকটি চালানোর পর থেকেই আমার হোন্ডা ব্রান্ডের বাইকের উপরে একটা আস্থা তৈরি হয়। এবং তা থেকেই হায়ার সেগমেন্টে আমি হোন্ডা এক্স ব্লেডের প্রাউড ওনার হই।
বাইক কেনার পিছনের গল্প -
আমি একজন হোন্ডা এক্সব্লেড ইউজার। বিগত তিন বছর নয় মাসে আমি এই বাইকটি ৮৬ হাজার প্লাস কিলোমিটার চালিয়েছি। তবে আমার এই এক্স ব্লেড বাইকটি কেনার পিছনে একটি গল্প আছে। রংপুরে আমাদের 'রংপুর রাইডার্স' নামে খুব ছোট্ট একটি বাইকিং কমিউনিটি আছে। যেখানে ম্যাক্সিমাম বাইকারদের হাতে হায়ার সিসি বা প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বাইক ছিল। যেখানে শুধু মাত্র আমিই ১১০ সিসি ড্রিম বাইক চালাতাম।
যদিও গ্রুপের সবাই আমাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা বা ভালোবাসতো এবং আমি ছোট গাড়ি চালাই হিসেবে আমাকে তারা কখনোই সেই চোখে দেখেনি। তবে আমি নিজে নিজেই উপলব্ধি করতে থাকি যে আমার একটি হায়ার সেগমেন্টের বাইক দরকার। এবং আমার সাথে যে আমার গ্রুপের ছেলেরা বা বড় ভাইয়েরাও উপলব্ধি করেছিলো যে আসলেই আমার একটি হায়ার সেগমেন্টের বাইক দরকার তা তারা আমাকে সেইসময় বুঝতে দেয়নি।
তো এরপরেই এই বাইকটি এক বড় ভাই আমাকে গিফট করেন সেই সাথে আমার গ্রুপের ভাই ব্রাদাররা যথেষ্ট হেল্প করেন। বাইকটি আমার হাতে আসার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না বা আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য বলা হয়নি যে এই বাইকটি আমার জন্য কেনা হচ্ছে। শুধু জানতাম যে সেই ভাই বাইকটি কিনছেন তার নিজের ব্যবহারের জন্য। শুধুমাত্র বাইক কেনার কয়েকদিন আগে এক আড্ডার ফাকে সেই ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি একটি বাইক নিবে তো কি বাইক নেওয়া যায়।
তখন আমি তাকে প্রিমিয়ামের মধ্যে CBR 150R আর বা X Motion সাজেস্ট করি এবং কমিউটারের মধ্যে Xblade সাজেস্ট করি। তখন সেই আড্ডার মধ্যে আরেক বড় ভাই আমাকে টেকনিকালি জিজ্ঞেস করেন যে তানভীর তুই নিজের জন্য হলে কোন বাইক কিনতি। তখনও আমি বুঝতে পারিনি যে তাদের মধ্যে কি চলছে! তো যাই হোক তখন আমি আমার সার্বিক বিবেচনা করে বলি যে, 'আমি হলে তো এক্সব্লেড ই নিতাম'।
প্রতিত্তরে সেই ভাই আমাকে আবার জিজ্ঞেস করে যে কেন এক্স ব্লেড? তখন আমি তাকে বলি-যেহেতু আমার বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার এবং প্রায়ই আমাকে রংপুর নীলফামারী রংপুর যাতায়াত করতে হয় অর্থাৎ ৫৮+৫৮=১১৬ কিলোমিটার, এমনকি কোন কোন সপ্তাহ আছে যে প্রতিদিনই আমাকে যাতায়াত করতে হয়, আর মাঝেমধ্যে লং ট্যুরে যাওয়া হয়। সেহেতু আমার এমন একটি বাইক দরকার যে এই প্রেসার রেগুলার নিতে পারবে, সেইসাথে বাইকটি কমফোর্টেবল হবে, ভালো মাইলেজ দিবে, মেইন্টেনেন্স কস্ট কম হবে, সেই সাথে দেখতে অনেকটা স্টাইলিশ হবে, আর আমি একজন ফ্যামিলি পারসন সে হিসেবে আমার ফ্যামিলির কমফোর্টেবল এর জন্য সিটিং ক্যাপাসিটি ভালো হবে।
এক কথায় একটি অলরাউন্ডার বাইক হবে। এই সব কিছু মাথায় রেখে আমার জন্য এক্সব্লেড বাইকটি একটি পারফেক্ট বাইক বলে মনে হয়েছে। তার কয়েকদিন পরেই ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি সেই বড় ভাই ও রংপুরের বাইকিং কমিউনিটির কিছু ভাই ব্রাদাররা মিলে বাইকটি নীলফামারী জেলার হোন্ডা শোরুম ইসলাম মটরস থেকে ক্রয় করে এবং সেই রাতেই এক সারপ্রাইজ মোমেন্ট এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাইকটি আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই মুহূর্তে এক স্পর্শকাতর মুহূর্ত তৈরি হয়, যার অনুভূতি আমি আপনাদের ভাষায় বলে প্রকাশ করতে পারবো না।
বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি ও ফিচার -
বাইকটি প্রথম চালানো বা ফাস্ট ইম্প্রেশন বলতে আমার কাছে প্রথমত এর হেডলাইটের রোবো-ফেসড লুকটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সেইসাথে এর সিটিং পজিশন বেশ কমফোর্ট মনে হয়েছে, এর সিটের লেনথটাও বেশ বড় সে কারণে রাইডিং এর সময় রাইডার ও পিলিয়নের জন্য বেশ কমফোর্টেবল হয়। বাইকের হ্যান্ডেলের টার্নিং রেডিয়াস অনেক বেশি, যে কারণে অল্প জাগার মধ্যে বাইকটি ইউ টার্ন নেওয়া যায়।
এর ফ্রন্ট সাসপেনশনের প্লেইং লেনথ অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক বেশি, যার কারণে ফ্রন্ট হইলে কোন বাম্প বা গর্তে পড়লে রাইডারের হাতে অত বেশি শখ ফিল হয় না। সেই সাথে এডজাস্টেবল মনো শক রিয়ার সাসপেনশন হওয়ায় স্মুথ রাইডিং এর এক্সপেরিয়েন্স দেয়।
এর ১৩০ সেগমেন্টের রেয়ার টায়ার সিটি রাইডিং বা স্লো রাইডিং এর ক্ষেত্রে বেশ ভালো ব্যালেন্স দেয়। আমার বাইকটি সিঙ্গেল ডিক্সের আর এর ফ্রন্ট ব্রেকিং সিস্টেমে ২৭৬ মিলিমিটার প্যাটেল ডিস্ক হওয়ায় ব্রেকিং এ মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। যদিও আজ পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ ব্রেকিং এর জন্য কখনো খারাপ পরিস্থিতিতে পরতে হয়নি।
আর এর ফুয়েল ট্যাংকের শার্প ডিজাইনের লুক অনেকটাই একগ্রেসিভ দেখায়। এই বাইকটিতে কিছু কিছু জিনিস যেমন- ফুল ডিজিটাল মিটারে গিয়ার ইন্ডিকেটর ও সার্ভিস ডিউ ইন্ডিকেটর, এর ইঞ্জিন গার্ড, টায়ার গার্ড, ফ্রন্ট সাসপেনশনের ডাস্ট কার্ড, হ্যাজার্ড ল্যাম্ব ইত্যাদি আমার কাছে অন্য বাইকের তুলনায় একটু বেশি এক্সেপশনাল মনে হয়েছে। আর আমার দেখা হোন্ডার এই ফিচারগুলো বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এক্স ব্লেড বাইক দিয়েই শুরু করেছে হোন্ডা।
বাইক কতবার সার্ভিস করিয়েছি এবং কোথা থেকে বা কিভাবে সার্ভিস করিয়েছি -
যেহেতু বাইক আমার নিত্যদিনের পথচলার সাথী সুতরাং এর যত্ন বা সার্ভিসইং নিয়ে আমি কোন রিস্ক নেইনা, আমি বি এইচ এল এর সার্ভিস সিডিউল অনুযায়ী অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকে নিয়মিত সার্ভিসিং করাই। অর্থাৎ ৪-৫ হাজার পর পরই একটি সার্ভিস চেকআপ দেই। সময় মত এয়ার ফিল্টার, প্লাগ, ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। নিয়মিত চেইন ক্লিন ও লুব করি, বললেসারের এডজাস্টমেন্ট চেক অথবা এডজাস্ট করি। টায়ারের এয়ার প্রেসার মেইনটেইন ইত্যাদি কাজ সময় মত করিয়ে থাকি।
বাইকের মাইলেজ কত পাই -
বাইকের মাইলেজ বিষয়টি অনেকটাই আপেক্ষিক একটি বিষয়। এটি আরপিএম অথবা স্পিড অথবা রাইডারের গাড়ি চালানোর ধরণের উপর অনেকটাই ডিপেন্ড করে এবং ম্যান টু ম্যান ভ্যেরি করে। তবে শুরু থেকেই আমি এক্সব্লেড এর মাইলেজ নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট। পাঁচ হাজার আরপিএম এর মধ্যে স্পিড মেইনটেইন করলে মাইলেজ পেতাম ৫৪-৫৭ পাই আর হাই রেভ করলে পেতাম ৫০-৫২। আর এখন ৮৬ হাজার চালানোর পরেও পাঁচ হাজার আরপিএম এর মধ্যে স্পিড মেইনটেইন করলে মাইলেজ ৫০+ পাচ্ছি। আর হাই রেভ করলে পাচ্ছি ৪৫+।
বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম, গ্রেড, দাম, এবং ধরন -
ইঞ্জিন অয়েল সম্বন্ধে যদি বলি তবে আমি সর্বদা হোন্ডার রেকমেন্ডেড 10W30 গ্রেডের মিনারেল প্রো-হোন্ড অয়েলটি ব্যবহার করি।
কি কি পার্টস বদলেছি এবং কেনো বদলেছি -
- আমি এখন পর্যন্ত বাইকের একবার রিং পিস্টন ও ভ্যাল্ব সেট চেঞ্জ করেছিলাম। যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে হয়েছিল। কারনটি ছিল কিছুদিন পুর্বেই কুয়াকাটা টুরে গিয়েছিলাম। প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার এর ট্রিপ ছিল সেটি। তো সেই ট্যুরে বেশ কিছু পাম্পে থেকে তেল নেই। তাতে কয়েকটি পাম্পের তেল ভালো ছিলো না, যা তখন বুঝতে পারিনি। পথিমধ্যেই খারাপ তেলের কারণে বাইকের প্লাগ অভার হিট হয় আর অভার হিটিং এর কারণে বাইক নকিং করা শুরু করে কিন্তু আমি না থেমেই ওভাবেই টুর কমপ্লিট। যার কারনে বাইকের ভ্যাল্ব ও রিং পিস্টনে প্রভাব পরে।
- ৫৫ হাজারে টাইমিং টেনশনার চেঞ্জ করেছি একবার সাউন্ড ইশুর কারনে।
- সামনের ব্রেক শু আনুমানিক ৩-৪ বার চেঞ্জ করেছি পিছনের ব্রেক শু চেঞ্জ করেছি দুইবার।
- চেইনে স্প্রকেট চেঞ্জ করেছি তিনবার। প্রথমটা ১৮-২০ হাজার কিলোমিটার এ, পরের টা ৪৫ হাজার কিলোমিটারে এবং তার পরেরটা ৭৫ হাজার কিলোমিটারে।
- বল-রেসার পরিবর্তন করেছি দুইবার।
- এছাড়া বাইকের টুকটাক মেনটেনেন্স এর জন্য যেগুলো লাগে সেগুলোই পরিবর্তন করতে হয়েছে। তাছাড়া আজ পর্যন্ত ক্লাস এতে হাত দিতে হয়নি এছাড়া ইঞ্জিনের ভিতরের বিয়ারিং, ক্রাংশ্যাপ, কানেক্টিং রড, গিয়ার এসেম্বলি এগুলো স্টক পর্যায়ে রয়েছে।
বাইকের যে ধরনের মোডিফাই করেছি -
সচরাচর আমার অ্যাডভেঞ্চার সিরিজের বাইক বেশি পছন্দ। আর এই বাইকের লুক অনেকটা এডভেন্সার বাইকের সাথে যায়। আর সেই অ্যাডভেঞ্চার লুকটাকে আরেকটু বাড়িয়ে তুলতে এটাতে আপরাইড হ্যান্ডেল বার, লং উইন্ডশিল্ড ও শ্যাডোল ক্যারিয়ার লাগিয়েছি।
বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড -
সাধারণত টপ স্পিড চেক করা হয় না। কারণ এতে অনেক প্রিপারেশন নিতে হয়। কারণ এর সাথে নিজের ও অপরের সেফটি ইসু জড়িত, রোড কন্ডিশন, উইন্ড স্পিড, বাইকের কন্ডিশন সহ অনেক কিছু ডিপেন্ড করে। তবে শুরুর দিকে অনেক প্রিপারেশন নিয়ে চেক করেছিলাম তাতে সর্বোচ্চ ১৩৩ পর্যন্ত পেয়েছি। এমনিতে হাইওয়েতে হাই রেভ করলেই ১১০-১৫ তে ইজিলি চালানো যায়।
Honda X-Blade 160 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- স্টাইলিশ শার্প লুক।
- কম্ফোর্ট সিটিং পজিশন।
- এই সেগমেন্টে বেস্ট মাইলেজ।
- ইঞ্জিন ডুরেবলিটি ও স্ট্রং বডি।
- লো মেইন্টেনেন্স।
- ফিচার।
- সর্ট টার্নিং রেডিয়াস।
- বাজেট কিং।
Honda X-Blade 160 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- ফ্রন্ট টায়ার দেখতে চিকন দেখায়, যদিও এটাতে আমার রাইডিং এ কখনই কোন সমস্যা হয়নি।
- ইঞ্জিন কিল সুইস নেই।
- হার্ড গিয়ার সিফটিং।
- নরেয়ার সাসপেনশন আরেকটু সফট হইতে পারতো।
বাইকটি দিয়ে করা লং ট্যুরের ইতিহাস -
আমার এই এক্সব্লেড বাইকটি নিয়ে অসংখ্য লং টুরের গল্প আছে। তার মধ্যে একবার নেত্রকোনা থেকে বিরিশিরি হয়ে কলমাকান্দা ও আরেকবার সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জ তাহেরপুর হয়ে নীলাদ্রি লেক দেখে নেত্রকোনা আসার পথে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোর মতো অফরোড পরেছিলো। সেই অফ রোডে এই বাইকটি আমাকে বেশ সাপোর্ট দিয়েছিল।
এরপর বেশ কয়েকবার পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে সিঙ্গেলে বা পিলিওন সহ ঘুরা হয়েছে এই বাইকটি নিয়ে। সেই সাথে রিসেন্টলি দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা পিলিওন সহ কাভার করেছি আমার এই এক্স ব্লেড বাইকটি দিয়ে।
বাইকটি কাদের জন্য পারফেক্ট -
আপনি ১৫০-১৬০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে একটি স্টাইলিশ সাথে কম্ফোর্টেবল বাইক খুজচ্ছেন, যা আপনি আপনার ডেইলি রাইডে সেইসাথে লং ট্যুরে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করবেন কিন্তু সেই সাথে মাইলেজটাকেও প্রাধান্য দিচ্ছেন। আর আপনার বাজেট যদি হয় ২ লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে তাহলে এটি আপনার জন্য একটি পারফেক্ট বাইক।
পরিশেষে আমি আমার হোন্ডা এক্সব্লেড বাইকের সাথে তিন বছর নয় মাস এ ৮৬ হাজার প্লাস কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস আমার এই অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা হোন্ডা এক্সব্লেড বাইক সমন্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মো: তানভীর রহমান রোমান
T
Published by Shuvo Bangla