Shares 2

Akij Durjoy ইভি বাইক নিয়ে কয়েক বছরের নির্ভরতার গল্প – সানজিত

Last updated on 26-Jul-2025 , By Shuvo Bangla

আমার নাম নাদিমুল ইসলাম সানজিত , আমি ২০২১ সাল থেকে Akij Durjoy ইলেকট্রিক বাইকটি ব্যবহার করছি। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি সিদ্ধান্ত ছিল, বিশেষ করে যখন শহরে প্রতিদিন কোচিংয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে যখন ফুয়েল খরচ দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে, তখন ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহার করা শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং অর্থনৈতিকভাবেও অনেক লাভজনক।akij durjoy price in bangladesh

বাইক কেনার কারণ - 

প্রথমত, আমার প্রতিদিনের যাতায়াতের একটি নির্ভরযোগ্য, কম খরচের ও রক্ষণাবেক্ষণবিহীন সমাধান দরকার ছিল। আমি ইন্টারনেট এবং পরিচিতদের কাছ থেকে জেনে আকিজ দূর্জয় বেছে নিই, কারণ এটি বাংলাদেশের বাজারে ইতিমধ্যেই ভালো নাম কুড়িয়েছে।

কোথা থেকে ও কত টাকায় কিনেছি - 

আমি বাইকটি কিনেছিলাম ২০২১ সালে মাত্র ৮৫,০০০ টাকা দিয়ে, চট্টগ্রাম অভি মোটরস থেকে। সে সময় এই দামে এত ভালো রেঞ্জ এবং পারফরম্যান্সের ইভি বাইক বাজারে ছিল না বললেই চলে।

চালানোর অভিজ্ঞতা ও রেঞ্জ -

গত কয়েক বছরে আমি নিয়মিত এই বাইকটি চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক হাজার কিলোমিটার চালানো হয়ে গেছে। একবার ফুল চার্জে সাধারণত আমি ৫৫-৬৫ কিলোমিটার রেঞ্জ পেয়ে থাকি, যা শহরের ভেতরে চলাচলের জন্য একেবারেই যথেষ্ট।akij durjoy in bangladesh

চার্জিং টাইম ও খরচ -

চার্জ দিতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে এবং একবার ফুল চার্জে খরচ পড়ে আনুমানিক ১০ টাকা। আমি সাধারণত রাতে চার্জ দিয়ে রেখে দিই, সকালে একদম প্রস্তুত থাকে।

সার্ভিসিং ও পার্টস -

এই কয়েক বছরে আমার বাইক নিয়ে বড় কোনো সমস্যা হয়নি। শুধু একবার ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয়েছে, যা স্বাভাবিক ব্যাটারি লাইফের মধ্যে পড়ে। অন্যান্য পার্টস সহজলভ্য এবং স্থানীয় দোকানেই পাওয়া যায়।

বাইকের ভালো দিকগুলো -

  • কম খরচে চলাচলের সুবিধা
  • শব্দহীন, স্মুথ রাইড
  • কোনো তেল বা গিয়ার নিয়ে ঝামেলা নেই
  • চার্জ দেয়া সহজ
  • রক্ষণাবেক্ষণ প্রায় নেই বললেই চলে

কিছু সীমাবদ্ধতা বা খারাপ দিক -

  • টপ স্পিড তুলনামূলক কম (৪৫-৫০ কিমি/ঘণ্টা), হাইওয়ের জন্য নয়
  • বৃষ্টির দিনে খুব বেশি চালানো নিরাপদ নয়
  • চার্জিং স্টেশন এখনো পর্যাপ্ত নয়, বাসায় চার্জ দেয়ার সুবিধা না থাকলে সমস্যা হতে পারে

রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স -

শহরের জ্যামে আকিজ দূর্জয় চালানো খুবই আরামদায়ক। যেহেতু এটি হালকা ও কন্ট্রোল করা সহজ, তাই মোড় ঘোরা, পার্কিং ইত্যাদি কোনো সমস্যা হয় না। শব্দ না থাকায় আশেপাশের মানুষ বিরক্ত হয় না এবং নিজেরও আরাম লাগে।

যারা প্রতিদিন ২০-৬০ কিলোমিটার রুটিনে চলাচল করেন, তাদের জন্য ইভি বাইক হলো সেরা সমাধান। ফুয়েল খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ সবকিছু বিবেচনা করলে EV বাইক অনেক বেশি উপকারী।akij durjoy price bdসবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা -

একদিন আমি বাইক চালিয়ে বন্ধুর বিয়েতে যাচ্ছিলাম। সবাই দেখছিল বাইক চলছে কিন্তু কোনো শব্দ নেই! অনেকেই এসে প্রশ্ন করছিল এটা কীভাবে চলে, কত টাকায় কিনেছি। সেইদিন বুঝেছি, আমার সাইলেন্ট এই বাইকটা কতটা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

শেষ কথা -

আকিজ দূর্জয় আমার কাছে শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি আমার প্রতিদিনের নির্ভরতার সঙ্গী। EV বাইক ব্যবহার করে আমি খরচ বাঁচিয়েছি, পরিবেশবান্ধব হয়েছি এবং ঝামেলাবিহীন একটি যাতায়াত উপভোগ করছি।

লিখেছেনঃ নাদিমুল ইসলাম সানজিত

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla