Shares 2
কাওয়াসাকি মোটরসাইকেল অবশেষে দেশের বাজারে!
Last updated on 17-Aug-2025 , By Shuvo Bangla
আমার ঠিক জানা নেই, বাংলাদেশে কাওয়াসাকি মোটরসাইকেল-এর সর্বশেষ পরিবেশক কারা ছিলেন, যদিও এখনো পথেঘাটে বেশকিছু ২-স্ট্রোক কাওয়াসাকি দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে থাইল্যান্ড থেকে কাওয়াসাকি মোটরসাইকেল আমদানি করছে অপূর্ব ট্রেডার্স। তারা দেশের বাজারে কাওয়াসাকির ২টি অফ রোড বাইক কাওয়াসাকি ডি ট্র্যাকার্স ও কাওয়াসাকি কেএলএক্স ১৫০বিএফ বিক্রি শুরু করেছে। গত ১৬ জুলাই রংপুরে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি শুরু করে।
Also Read: Kawasaki KX112 Price In BD

এখন প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, এতো বাইক থাকতে অফ রোড এনেছে কেনো অপূর্ব ট্রেডার্স। আসলে থাইল্যান্ডে কাওয়াসাকি’র ১২৫-১৫০ সিসির মোটরসাইকেল পাওয়া যায় । কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই স্পোর্টস কিংবা স্ট্রিট ফাইটার নয়, সবগুলোই পকেট বাইক বা অফ রোড মোটরসাইকেল! মূলত কাওয়াসাকির পারফরম্যান্স বাইক শুরুই হয় ২৫০-৩০০ সিসি ক্যাটাগরি থেকে! অথচ আমাদের দেশে ১৫৫ সিসির ওপর কোনো বাইকের অনুমোদন নেই। সুতরাং সেগুলোর স্বপ্নই শুধু দেখতে পারি আমরা…
যাহোক, অপূর্ব ট্রেডার্স যে দুটো অফ রোড বাইক এনেছে, তার উভয়টিই ১৪৪ সিসি এয়ার কুলড ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন বিশিষ্ট। দুটি বাইকের টেকনিকাল দিকগুলো প্রায় একই। তবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ভেদে তাদের ইঞ্জিন ও অন্য কিছু বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য রয়েছে। উভয় বাইকেই ৫ স্পিড গিয়ার বক্স ও দুই চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক আছে।

কাওয়াসাকি কেএলএক্স ১৫০বিএফ পুরোপুরি ডার্ট বা অফ রোড বাইক। এটা সম্পূর্ণ রূপে অফ রোড বাইকিংয়ের জন্য উপযোগী একটি বাইক। অফ রোড বা ডার্ট বাইক হিসেবে এই বাইকে দীর্ঘ সাসপেনশন, অপেক্ষাকৃত বড়ো স্পোক রিম, অফ রোড টায়ার এবং ভিন্ন মাপের চেইন-স্প্রোকেট লাগানো হয়েছে।
Also read: সর্বশেষ কাওয়াসাকি বাইক নিউজ বাংলাদেশ

এই বাইকটিকে বাংলাদেশের এক সময়ের জনপ্রিয় বাইক হোন্ডা এক্সএল১৮৫ এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। বাইকটির পিছনের সাসপেনশন অ্যাডজাস্ট করা যায় এবং এর ওজন মাত্র ১১৮ কেজি, যার কারণে এটি অফ রোড বাইক হিসেবে এটি চমৎকার ব্রেকিং ও ব্যালান্স দেয়।
>>বাংলাদেশে কাওয়াসাকি কেএলএক্স ১৫০বিএফ এর মূল্য
অন্যদিকে ডি-ট্র্যাকার ১৫০ ডুয়েল পারপাজ বাইক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটা দিয়ে অফ রোডে যেমন চলা সম্ভব, তেমনি রেগুলার বাইকিংয়ের জন্যও এটি মানানসই।
Also Read: Kawasaki ER-6F Price In BD
>>বাংলাদেশে কাওয়াসাকি ডি-ট্র্যাকার এর মূল্য
ডি-ট্র্যাকার ১৫০-তে অপেক্ষাকৃত ছোটো স্পোক-রিম, সেনসিটিভ সাসপেনশন, ওয়াইড ও অন রোড টায়ার এবং ছোটো চেইন-স্প্রোকেট ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে এই বাইকটি নিয়মিত ভ্রমণ কিংবা ভালো-খারাপ সব রাস্তায় চলার উপযোগী।
উভয় বাইকেরই একটি খুঁত হচ্ছে এতে সব অফ রোড বাইকের মতো স্পোক রিম ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু টিউবলেস টায়ার লাগানো হয়নি। তাছাড়া দুটি বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কে মাত্র ৭ লিটার জ্বালানি ধরবে, ফলে দীর্ঘ যাত্রা মোটেও সুখকর হবে না!
Also Read: Kawasaki Ninja ZX-6R Price In BD
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা বাইক দুটির টেস্ট রাইড দিবো এবং আপনাদের জন্য সম্পূর্ণ রিভিউ আমাদের সাইটে প্রকাশ করবো। ও, আরেকটি কথা, বাইক দুটির দাম, স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ঠিকানায়।
বাংলাদেশে কাওয়াসাকি মোটরসাইকেলের শোরুম অপূর্ব ট্রেডার্স রোড-২, বাড়ি-ই/২৩, ব্লক-ডি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ঢাকা।
হটলাইন : ০১৭৫৭ ৯১৭ ৭৬৬
T
Published by Shuvo Bangla