ফ্রীডম রানার রয়েল প্লাস মালিকানা রিভিউ লিখেছেন সজল
This page was last updated on 05-Jan-2025 09:44pm , By Shuvo Bangla
আজকে টোটাল ১০০০ কি মি টাচ করলাম ।তাই ভাবলাম একটা ছোটখাট রিভিউ দিয়ে দেই । আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষন থেকে বাস্তবিক যা মনে হয়েছে তাই বলতেছি ।
ফ্রীডম রানার রয়েল প্লাস মালিকানা রিভিউ
মডেল -ফ্রীডম রানার রয়েল প্লাস। সি সি-১১০। ----------------------------------------------------------------------------------------------------- প্রথমেই আসি বাইকের লুকস এর ব্যাপারে ।হ্যাঁ এটা সতিই বলতে হয় যে লুক্সটা টা আসলেই জোস । সাধারন চাইনিজ বাইকের মতো এটাতে কোন এক্সটা কিট এর বস্তা লাগানো নেই ।যা প্রয়জন তাই খুব ম্যাচ করে ফিটিং করা হয়েছে । বাইকের সাইজ টাও কম্পেক্ট ,মোটামুটী সবাইকে এই ফিট করে ।ডান পাশে কিট বক্স রাখা আছে , ভিতরে ভালোই স্পেস যা বাইকের চাবি দিয়েই খুলতে পারবেন । ট্যাংক এর ডিজাইটা অনেকটা ইউনিক।নিশ্চিতভাবে বলতে পারি বাইকের বিল্ড ডিজাইন নিয়ে আপনার কোন আক্ষেপ কখনোই হবে না । আর হেডলাইটা টার ফ্রন্ট লুক টাও অনেকটা এপাচি স্টাইলের ,ডেভিল লুক যারে বলে আরকি !!!

লুকস এর দিক থেকে আমি ১০ এ ৮ দিবো ।

বিল্ড কোয়ালিটি - বাইকের খুব বেশী কিট নেই ।যেটূকু আছে তা আমার কাছে মনে হয়ছে নিম্নমানের প্লাস্টিক ব্যাবহার করা হয়েছে । যদিও এখনো কোন কিট এর কিছু হয় নাই তবুও এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা ।বিল্ড কোয়ালিটির একটা খুত হচ্ছে সাইলেন্সার পাইপ খুব নিচুতে যার মানে গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স খুব কম । উচা স্পীড বেকারে উঠলে ঘষা লাগবে । তবে এটা ওদের সার্ভিস সেণ্টারে বলেল ওরা কেটে উপরে তুলে দেয় , আমারতাও করে দিয়েছিলো ।আর গাড়ির ওয়ারিং এর কাজ দারুন ।টানা চার দিন আমি ঝুম বিষ্টিতে চালাইছি আর ফালায়া রাখছি কিন্তু কোন প্রবলেম হয় নাই , এই কিকে স্টার্ট ।এমনকি গাড়ীর ইঞ্জিন পর্যন্ত পানির নিচে রাইখা চালাইছি কিন্তু একবারের জন্যও বন্ধ হয় নাই।
বিল্ড কোয়ালিটিতে আমি দিবো ১০ এ ৭।

পারর্ফরমেন্স - এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন একটা ব্যাপার । আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি আমি আপনি ফাস্ট ক্লাস সার্ভিস পাবেন এই বাইক থেকে । রেডি পিকাপ খুব একটা ভালো না হলেও মোটামুটি চলনসই । তবে গাড়ী ফাস্ট গিয়ারে খুব বাজে সাইন্ড করে আর প্রচুর ভাইব্রেট করে । সেকেন্ড গিয়ার থেকে আবার স্মুথ । আর ৫৫ কিলো এর বেশী স্পিড উঠালে ভালোই ভাইব্রেট করে আর বুঝা যায় ইঞ্জিন এর উপর প্রেশার পড়ে ।তবে আমি টপ স্পিড উঠাইছি ৮৯ পর্যন্ত । ৬৫ থেকে গাড়ি আবার অনেক স্মুথ হয়ে যায় । অভার অল আমি বলবো দামের তুলনায় সার্ভিস অনেক ভালো ।
Also Read: Runner Royal Plus price in BD
ব্রেকিং - বাইকের সবচেয়ে নেগেটিভ সাইড টা হচ্ছে ব্রেকিং । এটা একদম এ বাজে একটা ব্যাপার । হাইড্রোলিক ব্রেক টা মনে হয় দায়সারা ভাবে দেয়া হয়েছে । ব্রেকিং ডিস্টেনন্স ও প্রচুর যায়গা লাগে ।আর রেয়ার ব্রেক আরো বাজে । গারী ৪৫ এর উপরে থাকলেই হঠাত ব্রেক করলে স্কিড করবেই । তবে ৪৫ এর নিচে আমি অনেকবার হার্ড ব্রেক করছি , প্রব্লেম হয় না । মোট কথা ব্রেক বাইক হিসাবে পারফেক্ট না ।
মাইলেজ - আমি এখনো কারবুরেটর এখনো টিউনিং করাই নাই তাই তুলনামুলক ভাবে এখন তেল বেশি খাচ্ছে । আমার এখন মাইলেজ হচ্ছে ৪০-৪২ । আশা করেই টিউনিং করার পরে এইটা ৫০ পার হবে ।
ওভার অল আমি বলবো আপনি যদি গারীর দাম এর কথা চিন্তা করেন তাইলে এটা একটা ভালো পছন্দ হতে পারে । আর ডায়াং এর আফটার সেলস সার্ভিস বাংলাদেশ এর মাঝে বেষ্ট সার্ভিস সেন্টার এর মাঝে অন্যতম এর কোন সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় । জামাই আদরে ওরা ট্রিট করে ,আর সাথে ছয় বছর এর ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি তো আছেই.....................।।
লিখেছেনঃ Eron Sojol
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।
