নতুন মোটরসাইকেল পরিচর্যা - এই ৫ টি ভুল কখনোই করবেন না
This page was last updated on 31-Jul-2024 02:31pm , By Raihan Opu Bangla
নতুন মোটরসাইকেল পরিচর্যা এর উপর নির্ভর করে আপনার বাইকটি আগামীর দিনে আপনাকে কেমন সাপোর্ট দিবে, প্রতিটি বাইকের জন্য প্রথম ১০০০ কিলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । নতুন বাইকের সাথে প্রতিটা বাইকারের আবেগ জড়িয়ে থাকে, আর যদি কোন কারণে নতুন বাইক থেকে সমস্যা পাওয়া যায় তখন মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তবে আমাদের মধ্যে অনেকই আছেন যারা নতুন বাইক কিনে নিজের ছোট্ট কিছু ভুলের কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। আজ আমরা আপনাদের সাথে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো যেই ভুলগুলো আপনার কখনো করা উচিৎ না।
নতুন মোটরসাইকেল পরিচর্যা - এই ভুলগুলো কখনোই করবেন না
১- বাইক কিনেই ফগ লাইট লাগাবেন না
যেহেতু আমি নিজে একজন বাইকার আমি এটা জানি ফগ লাইট বা হাই পাওয়ারফুল লাইট ছাড়া অনেক বাইক রাতে চালানো খুব কষ্টকর। কিন্তু নতুন একটা বাইক কিনেই বাইকে অতিরিক্ত লাইট লাগাতে যাবেন না, আগে বাইকটা মিনিমাম ১০০০ কিলো রাইড করুন । তারপর বাইকে ভালোমানের লাইট ইন্সটল করুন। একটা নতুন বাইকের ব্যাটারি চার্জ নিতে এবং বাইকের সাথে এডজাস্ট হতেও টাইম লাগে। তাই নতুন বাইকে সেই সময়টা দিন, আর একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন বাইকে যখন কোন লাইট লাগাবেন তখন বাইকের মূল ওয়ারিং জেনো কাটাছেড়া করতে না হয়।
২- ভুল গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন না
প্রতিটা বাইকের জন্য একটা Recommended Engine Oil Grade থাকে , নতুন বাইক কিনে অনেকই যে ভুলটা করেন সেটা হচ্ছে বাসার পাশের গ্যারেজের ম্যাকানিক যে ইঞ্জিন অয়েল বলে সেটা বাইকে ব্যবহার করেন। কিন্তু নতুন বাইকে এই ভুলতা কখনোই করবেন না, আপনার বাইকের Recommended Engine Oil Grade যেটা ঠিক সেই গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন। বাইকের সাথে যে অয়েলটা থাকে সেটা আমি ১০০ কিলো ব্যবহার করে চেঞ্জ করে ফেলি, পরেরটা ৫০০ কিলো এবং ৩য় ইঞ্জিন অয়েলটা ১০০০ কিলো পর চেঞ্জ করে ফেলি। বাইকে ইঞ্জিন অয়েল ভরার সময় অবশ্যই ইঞ্জিন অয়েল আসল কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন ।
৩- অনভিজ্ঞ মেকানিক দিয়ে ক্লাচ এবং চেইন এডজাস্ট করাবেন না
নতুন বাইক কেনার পর বাইক চেইন এবং ক্লাচ এডজাস্ট করা লাগে, এটা বড় কোন ব্যাপার না। কিন্তু আমরা অনেকেই যে ভুলটা করি সেটা হচ্ছে এই কাজটি ছোট বলে বাসার আশেপাশের কোন ম্যাকানিক দিয়ে কাজটি করিয়ে নেই। কিন্তু আমরা ভালোভাবে খোজ নিয়ে নেয় না মেকানিক কেমন, আপনার বাইকের ক্লাচ এডজাস্টমেন্ট যদি ঠিক না থাকে এবং চেইনের মাপ যদি ঠিক না থাকে তাহলে এটি আপনার নতুন বাইকের উপর বেশ খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
৪- নতুন বাইক কিনেই লং ট্যুরে যাবেন না
বর্তমান সময়ে এই ভুল আমি অনেক বাইকার ভাইদের করতে দেখি সেটা হচ্ছে নতুন বাইক কিনে নিয়েই লং ট্যুরে বের হয়ে যান। একটা বাইকের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে, আর বাইক যখন নতুন থাকে বাইকটাকে ভালোভাবে না বুঝে বাইক নিয়ে লং এ বের হওয়া আপনার জন্য যেমন বিপদজনক ঠিক তেমনি আপনার বাইকের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। বাইকের ব্রেক ইন পিরিয়ড ভালোভাবে মেনে চলুন দেখবেন তাহলে আপনি আপনার বাইক থেকে বেশ ভালো মাইলেজ পাবেন এবং আপনার বাইকটিও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
৫- নতুন বাইক অন্যের হাতে দিবেন না
নতুন বাইক কিনে এই জিনিসটি অবশ্যই মেনে চলুন, বাইকটি নতুন অবস্থায় অন্যের হাতে দিবেন না। একটা জিনিসটা নতুন বাইকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। আমরা যারা বাইক রাইড করি আমাদের একেক জনের রাইডিং স্টাইল একেক রকম , আর নতুন একটি বাইক আপনি যেভাবে চালাবেন অন্য কেউ সেভাবে চালাবে না, এজন্য বাইকের ব্রেক ইন পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বাইক অন্য কারও হাতে দিবেন না।
৬- নিম্নমানের হেলমেট কিনবেন না
নতুন বাইকের সাথে যদি হেলমেট কিনেন তাহলে অবশ্যই হেলমেটটা ভালোমানের কিনুন। বাইক আপনি যেটায় কিনেন না কেনো হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে কোন প্রকার অবহেলা করবেন না। ভালোমানের হেলমেট ব্যবহার করে দেখুন আপনি রাইডিং এর সময় আলাদা একটা কনফিডেন্স পাবেন।
নতুন মোটরসাইকেল পরিচর্যা করার ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলো মেনে চলুন এবং উক্ত ভুলগুলো করা থেকে বিরত থাকুন দেখবেন আপনার বাইকটি অনেকদিন ভালো থাকবে। সব সময় নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন এবং অন্যকে উৎসাহিত করুন। অতিরিক্ত গতি পরিহার করি নিরাপদে বাড়ি ফিরি।
ধন্যবাদ