Yamaha R15 V3 নিয়ে ৬ বছরের রাইডিং অভিজ্ঞতা - শাওন অরন্য

This page was last updated on 11-Aug-2024 06:34am , By Shuvo Bangla

আমি শাওন অরন্য । আমি আজ আপনাদের আমার Yamaha R15 V3 বাইকটির সাথে আমার প্রায় ৬ বছরের রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আমার বাইকটি কেনার প্রথম অনুপ্রেরণা পাই ইউটিউব থেকে। বাইকটি যখন বাংলাদেশে আসবে আসবে করছে ঠিক তখন বাইকটি আমার খুব ভালো লাগে এবং বাইকটি আমার যথেষ্ট পছন্দ হয়।

সিদ্ধান্ত নেই যে এই বাইকটি আমার জন্য পারফেক্ট। ইউটিউবে অনেক বাইক রিভিউয়ারের ভিডিও দেখেছি এই বাইকটির সম্পর্কে, তারা কিছু ভালো দিক এবং কিছু খারাপ দিক উল্লেখ করলো। বাইকটি যখন বাংলাদেশের মার্কেটে লঞ্চ হলো ঠিক তার কিছুদিন পরেই আমি বাইকটি কিনে ফেলি, যার দাম পরেছিলো ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ,যা এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে বেশ কিছুটা কম। 


যদিও আমাকে যথেষ্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছিল সেই সময়। তারপর পেয়ে গেলাম আমার স্বপ্নের বাইকটি এবং শুরু হলো আমার বাইকটির সাথে পথচলা। আমি ৫ - ৬ বার গ্রুপ ট্যুর দিয়েছি বাইকটি নিয়ে এবং ১৫৫ সিসি বাইক হিসেবে খুব ভালো পারফামেন্স পেয়েছি। 

Yamaha R15 V3 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • বাইকটির স্পিড যথেষ্ট ভালো।
  • পিলিয়ন সিট এর সমস্যা নেই ।
  • বাইকটির স্পোর্টস লুকস সবার পছন্দের ।
  • ১৫৫ সিসি ইঞ্জিন হিসেবে মাইলেজ সন্তুষ্ট জনক । 
  • বাইকটি ডুয়্যাল চ্যানেল ABS হওয়াতে ব্রেকিং সিস্টেম খুব-ই ভালো ।
  • স্পিড এর কথা বিবেচনা করলে বাইকটি এক কথায় অসাধারণ ।

Yamaha R15 V3 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • বাইকটি একটু স্পোর্টস লুকস এর হওয়ায় সামনের দিকে ঝুকে চালাতে হয় ।
  • ঝুকে চালানোর জন্য লং ট্যুর বা বেশ কিছুক্ষণ রাইডিং এর পর হাত লেগে যায় । 
  • বাইকটিতে প্রচন্ড স্পিড হওয়াতে সাবধানে চালাতে হয় ।
  • এখন স্টক হেডল্যাম্পের আলো কিছুটা কমে গেছে , তাই ফগল্যাম্প ইউজ করতে হয় ।

কোনো কিছুই পারফেক্ট নাহ সব কিছুরই ভালো দিক খারাপ দিক আছে । আমার জীবনের প্রথম বাইকটি আমার অনেক কষ্টের টাকায় কেনা। যখন মন খারাপ থাকে তখন বাইকটি নিয়ে ঘুরি, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যাই । এই বাইকটিতে আমি ১৩৫ কিলোমিটার / ঘণ্টা স্পিড তুলতে পেরেছিলাম ।

বাইকটি আমি কিনেছি শখের বসত। বাইকটি কেনার বছরে আমি প্রায় ৪৮,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি । বাইকটি দিয়ে আমি কিছুদিন আগে আমাদের উলিপুর উপজেলা থেকে দিনাজপুর গিয়েছিলাম। যাওয়া আসায় প্রায় ৩০০+ কিলোমিটার পথ রাইড করেছিলাম বাইকের মাইলেজ এভারেজ ৩৫+ এর মত পেয়েছি যেটা ১৫৫ সিসি অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক সন্তুষ্ট জনক । যাই হোক সব দিক মিলিয়ে বাইকটি নিয়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট । বাইকটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর ও দিয়েছিলাম খুব সহজেই তেমন কোনো সমস্যা হয় নাই ।


বাইকের প্রতি ভালোবাসা ছোট বেলা থেকেই ছিল অনেক । আরো বেড়ে গেছে এই বাইকটি নেওয়ার পর । বাইকটি নিয়ে অনেক ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে আসলে বাইকিং কমিউনিটি গুলোর সাথে পরিচয় না হলে রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও যে মানুষ এত সহজে আপন হয় জানা ছিল না । আর বাইকিং গ্রুপ গুলোর মধ্যে আমার প্রিয় গ্রুপ হচ্ছে "বাইকবিডি"।

বাইকবিডি গ্রুপে ২০২২ সাল থেকেই আছি এবং পোস্ট লাইক কমেন্ট করে গ্রুপ এর সাথেই ছিলাম সব সময় এবং আছি । আরো অনেক কিছু বলার ছিল সেগুলা আজ আর নয় , সামনে আরো রিভিউ দিবো ইনশাআল্লাহ । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর বাইকবিডি'র সাথেই থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।


লিখেছেনঃ  শাওন অরন্য

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।