Yamaha FZS V3 ১৭,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - আরিফ

This page was last updated on 01-Aug-2024 02:36am , By Shuvo Bangla

আমি মাহাদী হাসান আরিফ , আমার বাইকের নাম Yamaha FZS V3 আমার বাইকটি বর্তমানে  ১৭০০০ কিলোমিটার রানিং। আমার বাসা ভোলা সদরে। আমার প্রথম বাইক FZs v3 যেটা আমার অনেক পছন্দের বাইক। 

yamaha fzs v3 black

আব্বুর বাইকের পিছনে বসা থেকেই আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি একটা ভালোবাসা কাজ করে, নিজের চেস্টায় আব্বুর বাইক দিয়ে বাইক শিখে ফেললাম। ২ চাকা দিয়ে বহুদূর যাওয়ার ইচ্ছা! 

অনেক এ প্রশ্ন করে বাংলাদেশের টপ-স্পিড বাইক,স্পোর্টিং বাইক থাকতেও কেনো আমি FZs v3 নিলাম । আমার বাইকটি আগে  থেকেই পছন্দ ছিলো, এবং বাইকটির নানান ফিচার যেটা আমাকে বিস্মিত করে এবং বর্তমান সময়ের কমফোর্ট একটা বাইক আমার মনে হয়। কালার ও মানান সই । 

yamaha fzs v3 black

ইয়ামাহা শোরুম থেকে বাইকটির দাম নেওয়া হয়েছিলো কাগজ সহ. ২৭,০০০০ টাকা এবং সেটি নিয়েছি ভোলা থেকে। নিজের বাইক প্রথমবার চালানোর অনুভূতি বলার মতো ছিলো না। নিজের বাইক আর অন্যের বাইক চালানোর মধ্যে অনেক পার্থক্য । 

বাইকটিতে এবিএস রয়েছে, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট,প্যাটাল ডিস্ক, ডুয়েল ডিস্ক ব্রেক, টিউব লেস টায়ার রয়েছে। এই নিয়ে ৭ বারের মতো সার্ভিস করিয়েছি, ইয়ামাহ সার্ভিস সেন্টার এ করিয়েছি ৩ বারের মতো আর বাকি ৪ বার এলাকার সার্ভিস সেন্টার এ।

Yamaha FZS V3

৩০০০ কিলোমিটার এর আগে ৩৭-৩৮ এর মতো মাইলেজ পেতাম এবং পরে ৩৮-৪০ এর মতো পাই। ১০ দিন পর পরই বাইক ওয়াশ করি এবং খুবই সাবধানতার সাথে ইউজ করি বাইক। নিয়মিত বাইকের কুলেন্ট চেক করি, ডিস্ক অয়েল চেক করি, কখনোই পেট্রোল ব্যবহার না করে সব সময় অকটেন ব্যবহার করি।

বাইকের শুধু হর্ন পরিবর্তন করেছি এবং কিছু স্টিকার লাগিয়েছি। আগের হর্ন এ তেমন সাউন্ড ছিলো না তাই নতুন হর্ন লাগাই। বাইকের কোন অংশ মডিফাই করা হয় নাই। বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ছিলো ১০৭।

Yamaha FZS V3 Review

এই বাইকটি সব বাইকের তুলনায় স্পিড তুলনামূলক কম কিন্তু মাইলেজ ঠিক আছে। কম দামে স্পোর্টস বাইকের ফিল পাওয়া যায়। ৫" ৪' এর থেকে ৫" ৮' মানুষের জন্য পারফেক্ট। লাইটিং পজিশন এবং আলোর দিক থেকে ঠিকঠাক।

Yamaha FZS V3 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • থ্রটল রেসপন্স একদমই কম
  • ইঞ্জিন প্রচুর ওভারহিট হয়
  • পিলিয়ন নিলে পাওয়ার ড্রপ করে

Yamaha FZS V3 Bike

বাইকটি দিয়ে ভোলা টু বরিশাল ট্যুর দেওয়া হয়েছিলো। যেখানে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার এর মতো চালানো হয়েছে। সেই ট্যুরে কোনো ধরনের ঝামেলা হয় নি এবং সবকিছুই ভালো ছিলো মাইলেজ ও ভালো পেয়েছি। বাইকটি নিয়ে আমার চূড়ান্ত মতামত ও পরামর্শ হলো যদি আপনি সোলো রাইডার হন সেক্ষেত্রে নিতে পারেন। ধন্যবাদ । 


লিখেছেনঃ  মাহাদী হাসান আরিফ

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।