Yamaha FZS V2 ৩০০০ কিলোমিটার ব্রেক ইন পিরিয়ড মেইনটেইন করি - আবির

This page was last updated on 27-Mar-2025 03:32pm , By Shuvo Bangla

আমি মোঃ আবির ,বাসা ঝিনাইদহ , কালিগঞ্জ । আমি এখন আমার জীবনের প্রথম বাইক Yamaha FZS V2 এর রাইডিং অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো ।

আমার জীবনের প্রথম বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা হয়  FZ V2 দিয়ে যেটা ছিলো আমার ভাইয়ের এবং আমার কিছু জমানো টাকা দিয়ে। বাইকটা কেনা হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আসলে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে হওয়ার কারনে কিনতে অনেক দেরি হয়ে গেছে । ভাইয়ের জমানো টাকা  এবং আমার জমানো কিছু টাকা দিয়ে বাইকটি কিনি । অবশেষে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার জীবনের প্রথম বাইকটি কিনতে সক্ষম হই । 

বাইকটি ডার্ক নাইট কালার এর ,দাম নিয়েছিলো ২০৮০০০ টাকা । বাইকটি কিনতে আমি আমার ভাই আমার দুইটা বন্ধু গেছিলাম । আমার বাসা থেকে যশোর গেছিলাম বাইকটা কিনতে। প্রথম দিন ই ৩০ কিলোমিটার রাইড দেই । সত্যি বলতে আমার স্বপ্ন টারে যখন আমি বাস্তবে চালাচ্ছিলাম মনের ভেতরে এতো শান্তি পেয়েছি বলে বুঝানোর মতো না ।বাইকের প্রথম 3000 কিলোমিটার ব্রেক ইন পিরিয়ড মেইনটেইন করি খুব সুন্দর ভাবে যার মধ্যে ৫ বার ইঞ্জিন অয়েল এবং ফিল্টার পরিবর্তন করি ৫০০০ আর পি এম রেখে। 

ব্রেক ইন পিরিয়ড এর সময় ৪৫ মাইলেজ পাইতাম কিন্তু তার পরে ৫০+ এখন বাইকে ৫০০০ কিলোমিটার সেইম পারফর্মেন্স পাচ্ছি। বাইকের ব্রেকিং, কর্নারিং,স্মুথনেস সেরা অবাক করার মতো। বাইক নিয়ে ডে ট্যুর দিয়েছি ৪০০ কিলোমিটার আর লং ড্রাইভে এখনো যাওয়া হয় নাই ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি যাব । ইচ্ছা আছে ৬৪ জেলা ঘুরে বেড়ানোর বাইকের কন্ডিশন এতো ভালো পাইছি একটু ও কষ্ট বোধ মনে করিনি বাইক টি আসলেই অনেক সুন্দর।

সিটিতে সর্বদা ৪৫ + মাইলেজ পাই হাইওয়ে তে ৫০ +। বাইকের টপ স্পিড চেক করছিলাম ১১৫ আমি সিঙ্গেল থাকা অবস্থায় পাই । বাইকে এই পর্যন্ত নতুন লাগিয়েছি ইমারজেন্সি সুইচ , চাকায় জেল দিয়েছি কিছু স্টিকার মডিফাইড করেছি । আল্লাহর রহমতে কোনো এক্সিডেন্ট হয়নি আসলে কন্ট্রোলিং অনেক ভালো । যখন বাইক নিয়ে বের হই তখন স্টার্ট দিয়ে ইঞ্জিন ৫ মিনিট হিট করে রাখি তার পর রোডে বের হই । 

বাইকের পারফরম্যান্স দিন দিন আমাকে মুগ্ধ করেই যাচ্ছে । আমার বাইকটি নিয়ে  ইচ্ছা আছে ৬৪ জেলা ঘুরে বেড়াবো একদিন ইনশাল্লাহ বাইকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রব্লেম পাইনি । বাইকে বৃষ্টি কাদা লাগলে তখনি ধুয়ে ফেলি সব সময় অকেটেন ব্যাবহার করি । আর ইঞ্জিন অয়েল মতুল ব্যাবহার করি ১০w৪০ মিনারেল ৫২০ টাকা দাম । ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহার করি । বাইকে অফিসিয়াল ভাবে ৩ বার সার্ভিস করানো হয়েছে ৫০০ কিলোমিটার থেকে ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ৫০০ কিলোমিটার পর পর সার্ভিস করিয়েছি । বাইক রাইড দেওয়ার সময় সার্টিফাইড হেলমেট ব্যাবহার করি যেটা নিজের সেফটির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

Yamaha FZS V2 বাইকের কিছু ভালো দিক -

  • বাইকটি নিজের দূর দূরান্ত যাবতীয় সকল কাজে ব্যবহার করা যায় ।
  • লুকিং গ্লাস ও হ্যান্ডেল বার অনেক সুন্দর ।
  • বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম টা চমৎকার । 
  • কর্নারিং করে কনফিডেন্স পাই ।

Yamaha FZS V2 বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • লং রাইডে ব্যক পেইন হয় ।
  • রেডি পিকাপ কম ।
  • হেডলাইট টা তেমন সুবিধার না লাইট এর আলো অনেক কম আর একটু বেশি হলে ভালো হতো ।

বাইক নিয়ে এখন পর্যন্ত বেশি দূরে যেতে পারিনি কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি যাব । আসলে বাইক নিয়ে বলতে গেলে শেষ হবে না যদি কেউ বাইক নেওয়ার চিন্তা ভাবনায় থাকেন তাহলে অবশ্যই সাজেস্ট করবো ইয়ামাহা কোম্পানির বাইক নিতে কারন এর পারফরম্যান্স অতুলনীয় । বাজেট হিসেবে আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে কিন্তু তবু ও বাইকটি অনেক ভালো যা বললে শেষ করা যাবে না । শেষ মুহুর্তে কিছু কথা না বললেই নয় বাইক নিয়ে অবশ্যই সচেতন ভাবে রাইড দিতে হবে ওভার কনফিডেন্স নিয়ে বাইক চালানো যাবে না এবং সবসময় সেফটি গিয়ার পরিধান করে বাইক চালাতে হবে। ধন্যবাদ । 

লিখেছেনঃ মোঃ আবির

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।