Yamaha FZS FI V3 ১৫,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - সিনহা
This page was last updated on 30-Jul-2024 04:41pm , By Shuvo Bangla
আমি তাওহীদ ইসলাম সিনহা। আমার বাইক Yamaha FZS FI V3 বাইকটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
এই বাইকটি আমার জীবনের প্রথম বাইক সেই জন্য এই বাইকটি আমার কাছে একটু স্পেশাল আমার কাছে এটি শুধু বাইক নয়, এটি আমার ইমোশন, বাইকটি আমার জীবিনের সাথে মিশে গেছে ।
প্রথমত কলেজে যাওয়ার জন্যই আমার বাইকটি কেনা, এর পরে ছোট ছোট ট্যুর, এবং আস্তে আস্তে বাইকটি হয়ে গেলো আমার দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কর্মের সাথী মন মনমানসিকতা যতই খারাপ থাকুক না কেনো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে যখন বাইকটি নিয়ে বের হই মনটা শান্তি হয়ে যায় ।
এবার আপনাদের কাছে আমার বাইকটি রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । সবচেয়ে বেশি যেই জিনিস টি আমার ভাল্লাগে সেটি হলো এর কন্ট্রোলিং, ব্রেকিং। কন্ট্রোল এবং কর্নারিং এর ক্ষেত্রে আমার কাছে, আমার বাইকই সেরা ।
এর মাইলেজ খুব ভালো এছাড়াও বাইকটির টার্নিং রেডিয়াস অন্যান্য বাইকের চেয়ে অনেক ভালো । আর কম্ফোর্ট এর কথা তো না বললেই নয় । কম্ফোর্ট এর দিক থেকে FZ এর সাথে অন্যান্য বাইকের তুলনা করাই বৃথা । আমার বাইকটি দিয়ে সর্বোচ্চ গতি তুলেছি ১২৩ ।
আমি আমার বাইকটি প্রতি সপ্তাহে ২ বার ওয়াশ করি, এছাড়াও সময় মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি, চাকার হাওয়া ঠিক আছে কি না তা কয়েকদিন পর পরেই চেক করি।
আমার বাইকটি এই পর্যন্ত ১৪,৪৯৮ কিলোমিটার রাইড করা হয়েছে । কিন্তু ১২,০০০ কিলোমিটার এর আগেই আমার বাইকের ট্যাংক কভার এর লক ভেঙ্গে যায় । কিন্তু ইয়ামাহার শোরুম এ জানানোর পরে তারা আমাকে ফ্রিতে নতুন ট্যাংক কভার লাগিয়ে দেয় ।
প্রথম ট্যাংক কভার টার লক ভেঙ্গেছিল ৫০০০ কিলোমিটারে আর দ্বিতীয় টা ভেঙ্গেছিল ১১,০০০ কিলোমিটারে ২ টাই ইয়ামাহা থেকে আমাকে বিনামূল্যে নতুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া আর কোনো পার্টস্ পরিবর্তন করা লাগেনি।
এখনো কোনো রকমের মডিফাই আমার বাইকে আমি করিনি। আমার বাইকে আমি সিটি রাইডে ৪০ আর হাইওয়েতে ৪৫ মাইলেজ পেয়েছি। আমি আমার বাইকে স্মুথ পার্ফরমেন্স এর জন্য ইয়ামালুব 10w40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি।
এবার আসি আমার বাইকটির সার্ভিসিং নিয়ে । এই পর্যন্ত আমার বাইকটি আমি ৬ বার সার্ভিসিং করিয়েছি। আমাদের জেলার একমাত্র ইয়ামাহার শোরুম M/S Goura Motors থেকে আমি আমার বাইক সার্ভিসিং করিয়েছি।
Yamaha FZS FI V3 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- মাইলেজ ভালো
- ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো
- কম্ফোর্ট
- সিটিং পজিশন ভালো
- বাইকটি চালালে কোনো ব্যাক পেইন হয় না
Yamaha FZS FI V3 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- ট্যাংক কভার টা ফাকা হয়ে যায়
- ফুয়েল পাম্প এ প্রব্লেম হয়
- ট্যাংক কভার গুলো বেশি ফেট
- হেড লাইট এ আলো কম
- বাইকটিতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক গুলো বেশি মজবুত না
বাইকটি দিয়ে আমার লম্বা দূরত্বের ভ্রমণ বরিশাল - কুয়াকাটা - বরগুনা - ফরিদপুর - গোপালগঞ্জ - নড়াইল - খুলনা 0 পয়েন্ট - বাগেরহাট । আমার কাছে অন্যান্য সব বাইকের থেকে এই বাইকটিই সেরা। এটাই হচ্ছে আমার বাইক নিয়ে, আমার চূড়ান্ত মতামত।
একেবারে বাসায় না পৌছানোর চেয়ে একটু দেরিতে হলেও বাসায় পৌছানো অনেক ভালো। হেলমেট পড়ুন নিরাপদ জীবন গড়ুন। ধন্যবাদ ।