Walton Takyon 1.0 ইলেক্ট্রিক বাইক খুব শীঘ্রই লঞ্চ হবে বাংলাদেশ!
This page was last updated on 29-Jul-2024 12:59pm , By Raihan Opu Bangla
বাংলাদেশের মোটরসাইকেল খুব দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে, অনেক নতুন নতুন বাইক কোম্পানি বাংলাদেশে এসেছে, তবে এর মাঝে সবাই সম্ভবত Walton ব্র্যান্ডটিকে ভুলতে বসেছে। ওয়াল্টন বাংলাদেশের শুরুদিকে মোটরসাইকেল কোম্পানি যারা বাংলাদেশে মোটরসাইকেল তৈরি করত।
Walton Takyon 1.0 ইলেক্ট্রিক বাইক খুব শীঘ্রই লঞ্চ হবে বাংলাদেশ!
তারা তাদের মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দিয়েছিল, তবে তারা আবার ফিরে আসছে নতুন ভাবে, এবার তারা নিয়ে আসছে ইলেক্ট্রিক বাইক Walton Takyon 1.0।
বর্তমানে আমরা ওয়াল্টনের অনেক ইলেক্ট্রনিক্স পন্য দেখতে পাই। তবে যেহেতু মোটরসাইকেল এর মার্কেট বড় হচ্ছে আমরা শীঘ্রই তাদের এই ইলেক্ট্রিক বাইকটি মার্কেটে দেখতে পাবো।
যারা ইলেক্ট্রিক বাইক সম্পর্কে জানেন না, তাদের জন্য বলছি, ইলেক্ট্রিক বাইক গুলো বিদ্যুতে পরিচালিত হয়। এর মানে হচ্ছে বাইকের সাথে ব্যাটারি সংযুক্ত থাকে এবং তার দ্বারাই বাইক পরিচালিত হয়। এই বাইক গুলো সাধারণ কম দামের হয় এবং কম খরচে আপনি চালাতে পারবেন।
ঢাকা শহরের মধ্যে ফুয়েল বা তেলের বাইকে ৪০-৫০ কিলোমিটার চলাতে আপনার ৯০ টাকার মত খরচ হয়, যেখানে ইলেক্ট্রিক বাইকে আপনার খরচ হবে ৮-১০ টাকা।
Walton Takyon 1.0 এর ফিচার্স এর মধ্যে এর সিট হাইট হচ্ছে ৭৭০ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স হচ্ছে ১৩০মিমি। এই বাইকটি ওজনে ৮২ কেজি। ওয়াল্টন দাবী করছে যে এই বাইকটি ১৮০ কেজি পর্যন্ত লোড নিতে পারবে।
এই Walton Takyon বাইকটি ১২০০ কিলোওয়াট এর হাব মোটর দ্বারা চালিত হবে। ব্যাটারি ওজনে প্রায় ৪০ কেজি এর মত এবং এর থেকে ১.৫ কিলোওয়াট এবং ৮.৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে থাকে। বাইকটি স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী বাইকটি ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা স্পিডে রাইড করা যাবে। বাইকটির ব্যাটারি চার্জের সময় হচ্ছে ৮ ঘন্টা এবং এর ব্যাটারি চার্জিং সাইকেল হচ্ছে ৩০০-৬০০।
Takyon এর টায়ারের ক্ষেত্রে সামনের দিকে দেয়া হয়েছে ৯০ সেকশন টায়ার, যাতে যুক্ত করা হয়েছে একটি ডিস্ক ব্রেক এবং রেয়ার দেয়া হয়েছে ১০০ সেকশন টায়ার ও এতেও দেয়া হয়েছে ডিস্ক ব্রেক। উভয় টায়ারই টিউবলেস টায়ার। সাসপেনশনের ক্ষেত্রে বাইকটির সামনে এবং পেছনে দেয়া হয়েছে হাইড্রোলিক সাসপেনশন, যা সাধারণত স্কুটারের ক্ষেত্রে কমন।
অনলাইনে যে ছবি আমরা দেখেছি তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, স্কুটারটিতে একটি এলইডি হেডলাইট যুক্ত করা হয়েছে এবং সেই সাথে দেয়া হয়েছে এলসিডি ড্যাশবোর্ড। ইলেক্ট্রিক স্কুটার সাধারণত শহরের মধ্যে কমিউট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কোভিড-১৯ মহামারী আকারে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরেছে, এই অবস্থায় গণ পরিবহন ব্যবহার করা কষ্ট সাধ্য এবং অনেক ব্যয় বহুল একটি ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই মোটরসাইকেলে কমিউট করা খুব খারাপ কোন অপশন নয় এবং বিশেষ করে যারা বাসা থেকে অফিস ও অফিস থেকে বাসা কমিউট করতে চান তাদের জন্য ইলেক্ট্রিক বাইক একটি ভাল অপশন।
ওয়াল্টন যদিও Walton Takyon 1.0 এর দাম ঘোষণা করেনি। তবে খুব শীঘ্রই ঘোষণা করবে বলে আমরা ধারণা করছি।