Runner Bullet 100 V2 প্রথম প্রেম আর প্রথম বাইক সমার্থক শব্দ -আব্দুল মাতিন
This page was last updated on 01-Aug-2024 11:42am , By Shuvo Bangla
আমি আব্দুল মাতিন , আপনাদের সাথে শেয়ার করবো Runner Bullet 100 V2 বাইকের ২১০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ । বাইক একটি অনুভুতির নাম ‘প্রথম প্রেম’ আর ‘প্রথম বাইক’ সমার্থক শব্দ। ২০১৯ সালের কথা। আমার বয়স তখন ২৪ বছর। পড়াশুনা শেষ। আমি তখন পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। থাকি গাজীপুরের টংগী এলাকায়। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের হাই স্কুল শাখায় পড়াই। বেতন এবং টিউশনি দিয়ে মোটামুটি ভালো ইনকাম হতো। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি কি মনে করে ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসলো। আমার ওয়াইফের সাথে আলোচনা করলাম ব্যাপারটি নিয়ে।
সেও আমাকে ইতিবাচক উতসাহ দিয়ে বিষয়টিকে এগিয়ে দিলো। স্কুলের পাশাপাশি আমার ব্যবসা শুরু করলাম। ছোটখাট অফিস নিলাম। স্কুলের ক্লাস শেষ করে ব্যবসায় সময় দেয়া শুরু করলাম। এর মধ্যেই ২০১৯ সাল কেটে ২০২০ আসলো। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিলো। এরমধ্যে করোনা আঘাত হানলো। আমার স্কুল বন্ধ হয়ে গেলো। ব্যবসা ও স্কুল রেখে গ্রামের বাড়ীতে চলে গেলাম।
গ্রামে তিনমাস একরকম বাধ্য হয়েই থাকতে হলো। তারপর আবার গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুর ফিরে আসলাম। স্কুল খোলার কোন সুযোগ না থাকায় ব্যবসাটা চালু করার সিদ্ধান্ত নিলাম। মোটামুটি সাড়াও পেতে শুরু করলাম। কিন্তু আমি গাজীপুর থাকতাম আর আমার সব কাজগুলো ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পেতে শুরু করলাম। তাই বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছিলো।
জ্যামের কারণে প্রচুর সময় নষ্ট হতে থাকলো এবং ক্লায়েন্টের লোকেশনে যথাসময়ে উপস্থিত হতে প্রচুর সমস্যা হচ্ছিলো। একদিন তো একজন ক্লায়েন্ট আমাকে রীতিমতো অপমানই করে বসলো। তিনি জানালো, যে সময়মতো আসতে পারে না তাকে কাজ দিলে সেটা ঠিকমতো করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে তার সন্দেহ আছে। আমি মন খারাপ করে বাসায় ফিরে আমার স্ত্রীকে ব্যাপারটি বললাম। সেও মন খারাপ করে বললো কি করা যায় চিন্তা করো। সে মজা করে বলল যে একটা বাইক কিনতে পারলে ভালো হতো। মজা করে বলার কারন হলো তখন আমার অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসারে বাইকের কথা অভাবনীয়। যেখানে করোনার প্রকোপে দৈনন্দিন খরচ চালানোই দায় সেখানে বাইক তো বিলাসীতা। তবে বাইকের প্রতি তীব্র একটা ভালোবাসা মনের কোনে তখনও লুকিয়ে ছিলো। প্রায় ভাবতাম টাকা হলে বাইক কিনবো। আর বাইক না থাকলেও আমি BikeBd’র সদস্য আর বিভিন্ন বাইক ভ্লগিং দেখতাম। খুবই ভালো লাগতো আর বাইকের প্রতি অজানা একটা টান অনুভব ও উপলব্ধি করতাম।
যাইহোক এভাবেই চলতেই থাকলো। ডিসেম্বরের কথা বাইকবিডির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটা ভিডিও চোখে পড়লো। বাইকবিডির রাইডার ও হোস্ট রেহমান জামিল শুভ ভাইয়ের Runner Bullet v2 এর ফার্ট ইম্প্রেশন ভিডিও দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছিলো 100cc engine, Single Cylinder SOHC 4 Stroke Dual Valve, Air Cooled Petrol Engine, Max Power: 6.432 bhp @7500 rpm, Max Power: 7 N.m @ 5500 rpm. বাইকবিডির ভিডিওতে ভাইয়া ম্যাট ব্লাক কালার বাইকটির রিভিউ দিচ্ছিলেন। আমার অনেক পছন্দ হলো এবং দেখলাম সেটা কিস্তিতে নেয়া যাবে। রানার শোরুমে গেলাম এবং কথা বললাম। তারা জানালো বাইকের মুল্য ৯৯,০০০ টাকা। তবে ম্যাট ব্লাক কালারের জন্য আরও ১০০০ টাকা বেশি দিতে হবে ২০,০০০ টাকা ডাউনপেমেন্ট দিলে তারা ২ বছরের কিস্তিতে আমাকে বাইকটি দিবে এবং রেজিষ্ট্রেশন তারাই করে দেবে।
কিন্তু সেই সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থায় ২০,০০০ টাকার ব্যবস্থা করা রীতিমতো অসম্ভব ছিলো। আমার স্ত্রীর সাথে ব্যপারটি শেয়ার করলাম। সে আশ্বাস দিয়ে বললো তুমি চেষ্টা করলে হবে চেষ্টা করো। আমি চেষ্টা করতে শুরু করলাম। হাতে কয়েকটা কাজ আসলো। সেখান থেকে মোটামুটি ২০,০০০ টাকার মতো প্রফিট হলো। ফাইল প্রসেসিং বাবদ আরো ১ হাজার টাকা দরকার সেটা আর কোনো ভাবেই ম্যানেজ হচ্ছিলো না।
তাছাড়া প্রতিদিন আমার কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছিলো, সেটার জন্য টাকা খরচ হচ্ছিলো। যাই হোক ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ এ হাতে আরও কিছু টাকা আসলো। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পরের দিন বাইক নিতে যাব। সেই রাতে আমি উত্তেজনায় ঘুমাতেই পারলাম না। বারবার কেন জানি মনে হচ্ছে শেষ মুহুর্তে হয়তো আর নেয়া হবে না। কিংবা রানার থেকে বলবে “সরি ব্রাদার, আপনাকে বাইক দিতে পারছি না।” তাই আমি প্লান বি হিসেবে ২০/৩০ হাজার এর মধ্যে পুরাতন বাইক পাওয়া যায় কিনা সেটা বিক্রয় ডট কম এ হন্নে হয়ে খুজতে শুরু করলাম।
যাইহোক, অবশেষে ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ এ কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই Runner bullet v2 বাইকটি হাতে পেলাম। শোরুম থেকে বাইক বের করে কাপাকাপা হাতে বাইকের সেলফ দিলাম। বাইকের ইঞ্জিন গর্জে উঠলো। থ্রোটলের সাথে হৃদয়ের কেমন যেন একটা মিলবন্ধন তৈরি হয়ে গেলো। হৃদ স্পন্দনের সাথে থ্রোটল আর ইঞ্জিনের গর্জন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো।
পরম মমতায় বাইকের পিঠে উঠে বসলাম। রানার শোরুম থেকে আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিচ্ছিলো। কথাগুলো আমার কানের কাছাকাছি এসে মিলিয়ে যাচ্ছে। আমি কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে তাকিয়ে আছি আমার প্রথম বাইকের মিটারের দিকে। সেদিন রাতেও ঘুমাতে পারিনি। কেবলই মনে হচ্ছে আমি কি সত্যিই বাইক কিনেছি নাকি স্বপ্ন দেখছি। শেষ রাতের দিকে একটু ঘুম আসলো। দেখলাম আমি বাইক চালাচ্ছি। কিন্তু দেখতে দেখতে বাইকটি একটা সাইকেলে রুপান্তর হয়ে গেলো। আমি আর এখন বাইক চালাচ্ছি না। যেটা চালাচ্ছি সেটা একটা লক্কর ঝক্কর সাইকেল। কি সর্বনাস! আমি চেচিয়ে উঠলাম, আমার বাইক! আমার বাইক! আশেপাশের মানুষ আমাকে দেখে মিট মিট করে হাসছে।
সেকি লজ্জার ব্যাপার। আমি সাইকেলটা প্রাণপণ চালিয়ে তাদের দৃষ্টির আড়ালে যেতে চাইছি। কিন্তু সাইকেলটাও আমার সাথে রসিকতায় মেতেছে। সেও এগুতে চাচ্ছে না। আমি চোখ বন্ধ করে সমস্ত শক্তি দিয়ে সাইকেলটি চালাতে চেষ্টা করলাম। আমি আবারো ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম। হঠাৎ কেমন যেন একটা অনুভুতি হতে শুরু করল, সবকিছু স্তব্দ হয়ে গেল। কেউ হাসছেও না, আর আমি সাইকেলও চালাচ্ছি না। আমি স্বস্তিতে নিশ্বাস নিলাম। তলিয়ে গেলাম গভীর ঘুমে। কে যেন পরম মমতায় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। আমি ঘুমের মধ্যেও বুঝতে পারলাম এ হাত আমার চিরচেনা হাত। আমার প্রিয় মানুষটির হাত।
ঘুম ভাঙলো বউয়ের ডাকে। স্বপ্নের ঘোর তখনো কাটেনি। আমি সত্যি বাইক কিনেছি কিনা সেটা বুঝতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো বাইক কিনি নি। বাইক কেনার ঘটনা পুরোটাই স্বপ্নে দেখা একটা অধ্যায় মাত্র। আমি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমার স্ত্রীকে বললাম আমার বাইকের চাবিটা কই রাখছো? সে আমার মনের কথা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে বললো তোমার বাইক ও চাবি দুটোই আছে। তুমি ফ্রেস হয়ে নাস্তা খেয়ে চালিয়ে আসো।
বাইক কেনার প্রথম ২৫০০ কিলোমিটার ৪৫০০ আর পিএম এর নিচে রেখে ধীরস্থির ভাবে চালালাম। ফ্রি সার্ভিস এবং ইঞ্জিন ওয়েল যথাসময়ে পরিবর্তন করতাম। আমি ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করতাম রানার রিকমেন্ড মিনারেল SAE 20W50 গ্রেডের আমি মবিল ব্রান্ডেরটা ব্যবহার করতাম। দাম ছিলো ৪৫০ টাকার মত। প্রথম ৫০০ কিলোমিটার পর পরিবর্তন করি। তারপর ১০০০ কিলোমিটার পর ৪৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিবর্তন করি। ৫০০০ কিলোমিটার এর পরে ১৪০০ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার পরপর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতাম।
২৫০০ কিলোমিটার চালানোর পরে গাজীপুর থেকে নীলফামারী আমার গ্রামের বাড়িতে ঈদে বেরাতে গেলাম। কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই বাইকে জীবনের প্রথম ৪০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ ভ্রমন শেষ করলাম। পিলিয়ন হিসেবে আমার সাথে ছিলো আমার সহধর্মীনি। গাজীপুর থেকে রওনা দিয়েছিলাম ভোর ৪ টায়। জীবনে প্রথমবার অন্যরকম একটা সকাল দেখলাম।
সুর্য সব বাধা পেরিয়ে আকাশ ফুড়ে উঠছে আর আমার ছোট্ট বাইকটি আমাদের দুজনকে নিয়ে ছুটছে দূর দিগন্তকে ছুতে। ৫০ কিলো পরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় দাড়ালাম। বাইকটাকে রেস্ট দিলাম, নিজেও রেস্ট নিলাম। ছোট্ট জীর্ণ টঙ গুলোতে দাড়ালাম, চা খেলাম, গল্প করলাম, বাইকের ইঞ্জিনের গর্জনের সুরে গান গাইলাম। সবই যেন ছিলো স্বর্গীয়। মনে হচ্ছিলো এ জীবন সার্থক। পিলিয়ন সহ বাইকের টপ স্পিড ছিলো ৯৫+ ।এছাড়াও নিয়মিত ঢাকা-গাজীপুর যাতায়াত করছিলাম। কোনো সমস্যা হচ্ছিলো না। দ্বিতীয় দীর্ঘ ভ্রমন আবারও গাজীপুর থেকে নীলফামারি আমার গ্রামের বাড়িতে। মোটামুটি কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রথম ১২০০০ কিলোমিটার চালালাম। তারপর সামনের ব্রেক প্যাড চেঞ্জ করলাম। সেই সময় ঢাকা-গাজীপুর রাস্তা ভয়ানক ভাঙা ছিলো। তাই ১৪০০০ কিলোমিটার এর মধ্যে বল রেসার চেঞ্জ করতে হলো।
তৃতীয় দীর্ঘ ভ্রমন করলাম গাজীপুর থেকে সিলেট, জাফলং, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল-ঢাকা-গাজিপুর। পথে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। গাজীপুর থেকে রওনা দেই ভোর ৫ টায়। সকালের সুর্য আমাদের স্বাগত জানায় নরসিংদীতে। রাস্তার দুধারে গাছ, আর সম্মুখে সোজা রাস্তা। রাস্তার একটু উপরেই সদ্য পৃথিবীর এই প্রান্তে উকি দেয়া সুর্য। বাতাশের দেয়ালকে ভেদ করে আমাদের পথচলা। উদ্দেশ্য জাফলং। সঙ্গী হিসেবে ছিলো আমার ওয়াইফ।
ভৈরবে সকালের নাস্তা সেরে আবার রওনা। মাঝে মধ্যে পথে থেমে চা-বিস্কুট খাওয়া তো চলছেই। বাইক কেনার আগে আমি তেমন একটা চা পান করতাম না। কিন্তু এখন আমি অদ্ভুত চা-খোর। জৈন্তাপুর-শ্রীপুরের সৌন্দর্য আমাদের মোহিত করলো। এতো দুরের কষ্ট মুহুর্তেই বিলিন হয়ে, মুখে হাসির রেখা দেখা দিলো। আহা! বাংলাদেশ এত সুন্দর। এই সুন্দর এতদিন না দেখে কিভাবে বেচে ছিলাম? জাফলংএ পৌঁছে হোটেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পিয়াইন নদীর তীরে। নদীর পানির শব্দ আর দূরে পাহারের সৌন্দর্যে আবারও হারিয়ে গেলাম। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। স্রষ্টার কারিশমায় বিমোহিত হলাম।
তৃতীয় দীর্ঘ ভ্রমন করলাম গাজীপুর থেকে সাজেক। ১০০ সিসি বাইক নিয়ে সাজেক ভ্রমন করলাম কোন রকম সমস্যা ছাড়াই। সাথে পিলিয়ন হিসেবে ছিলো আমার ওয়াইফ। ভোর ৪ টায় গাজীপুর থেকে রওনা দেই। খাগড়াছড়ি পৌছাই দুপুর ১ টায়। সেখানে লাঞ্চ সেরে বাঘাইহাটে গিয়ে ৩টার স্কয়াটে সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সে এক ঐতিহাসিক মুহুর্তের স্বাক্ষী আমরা। সাজেকের নির্ধারিত আকাবাকা উঁচুনিচু পাহাড়ি রাস্তা বারবার অবাক করে দিচ্ছিলো।
কখনো পাহাড়ের চুড়ায় কখনো পাদদেশ ভেদ করে আমার ছোট্ট বাইক তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাদের রোমাঞ্চে ভরপুর করে দিচ্ছিলো। আমরা অবাক হচ্ছিলাম। কান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। বুকে তীব্র চাপ অনুভব হচ্ছিলো। এ চাপ সৌন্দর্যের চাপ, এ চাপ ভয়ংকর সুন্দরের চাপ। জীবনে যতবার অবাক হয়েছি তার ৮০ শতাংশ অবাক মনে হয় সেইদিন আর সেন্টমার্টিন ভ্রমনের দিন হয়েছিলাম।২০২২ সালের ডিসেম্বরে আমার প্রিয় বাইকটি ২১,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। কোনো সমস্যা ছাড়াই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত মেইনটেইনেন্স করা হয়।বাইকটির মাধ্যমে আমার ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। গত বছরের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে তার দ্বিতীয় জন্মদিনের মাধ্যমে সে তৃতীয় বছরে পদার্পন করে। আমি ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে ১৫০ সিসি আরেকটি বাইকে শিফট করি। আমার মতে প্রথম প্রেম আর প্রথম বাইক সমার্থক শব্দ।
যা পরিবর্তন করতে হয়েছে -
- সামনের ব্রেক প্যাড।
- বল রেসার।
- চোক কেবল।
- হর্ন।
- ব্যাটারি।
- হেট লাইট।
Runner Bullet 100 V2 চালানোর পরে যে সমস্যা পেয়েছি -
- ভাইব্রেশন একটু বেশি।
- পাস লাইট সুইচ নাই।
- ব্রেকিং পারফরম্যান্স ইম্পুভ দরকার।
- শোরুমে স্প্রেয়ার পার্টস এর দাম বেশি।
- দেশি বাইক হিসেবে দাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো ।
Runner Bullet 100 V2 চালানোর পরে যা ভালো লেগেছে -
- মেইনটেইনেন্স খরচ অনেক কম।
- ইঞ্জিনের শক্তি অসাধারণ।
- বিল্ড কোয়ালিটি ভালো।
- মাইলেজ ভালো।
- ইঞ্জিন ওভার হিট হয় না।
- একজস্ট সাউন্ড টা অনেক দারুন।
- ডুয়াল হর্ন।
- বাইকের ওয়েট যথেষ্ট বেশি।
পরিশেষে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি রানারের Runner Bullet v2 অন্য কোম্পানির এই সেগমেন্টের বাইক থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। বিল্ড কোয়ালিটি থেকে শুরু করে সবকিছুই তারা দিন দিন উন্নত করছে। বাইকটিতে আমি মাইলেজ পেয়েছি সিটিতে+হাইওয়েতে এভারেজ ৬০ এর মত। অফিস কিংবা ব্যবসায়ীদের জন্য বাইকটি অসাধারণ একটি পছন্দ হতে পারে। আমি বাইকটিতে সর্বোচ্চ গতি পেয়েছি ৯৫+। এর থেকে হয় বেশি তোলা যেত, কিন্তু আমি সেদিকে যাইনি। আর এই বাইকটি মেইনটেইনেন্স খরচ অনেক কম। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ আব্দুল মাতিন