Royal Enfield Hunter 350 ৩৫০০ কিমি রাইডিং রিভিউ - রবিউল হাসান

This page was last updated on 28-Jul-2025 10:35am , By Raihan Opu Bangla

আসসালামু আলাইকুম, আমি রবিউল হাসান। পেশায় একজন স্টুডেন্ট ও পাশাপাশি একটা বিজনেস আছে। আমার বাইক Royal Enfield Hunter 350 এবং অলমোস্ট ৩৫০০ কি.মি চালিয়েছি ৩ মাসের ভিতরে।

Royal Enfield Hunter 350 ৩৫০০ কিমি রাইডিং রিভিউ

Royal Enfield Hunter 350 ৩৫০০ কিমি রাইডিং রিভিউ

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রি-বুকিং দিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাইকটি হাতে পাই। সিসি লিমিট বাড়ার আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল হান্টার ৩৫০ বাইকটি নিব, লাল রঙটা ইউনিক এবং এবিএস থাকায় এই কালারটি নিয়েছি। 

সিটি, হাইওয়ে সব মিলিয়েই ৩৫০০ কিমি এর এক্সপিরিয়েন্স ছিল। রিসেন্টলি আমি একটা ট্যুর কমপ্লিট করে আসছি ১২০০ কি.মি এর। রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার হয়ে মোটামুটি পাহাড়ি অঞ্চল ঘিরেই এই ট্যুরটি ছিল। পাহাড়ি রাস্তায় রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স যদি বলি, এতটা কমফোর্টেবল ও এতটা কনফিডেন্স দিয়েছে হিলে মনে হয়েছে এই বাইকটা যেন পাহাড়ে রাইড করার জন্যেই প্রস্তুত করা।

Also Read: Motorcycle Price In Bangladesh

ডিম পাহাড়ে এর আগে অন্য যেসব বাইক নিয়ে উঠেছি ১ গিয়ারে উঠতে হলেও হান্টার ৩৫০ নিয়ে ২-৩ গিয়ারে অনায়েসে উঠে যেতে পেরেছি। তখন আমি বুঝতে পেরেছি লাদাখে বা অন্যান্য পাহাড়ি অঞ্চলে ইন্ট্যারন্যাশনাল বাইকাররা কেন Royal Enfield নিয়ে ট্যুর দেয়। 

হাইওয়ে এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে যদি বলি, ৮০-১০০ কি.মি স্পিডে বেশ কম্ফোর্টেবলি কনফিডেন্সের সাথে বাইকটি রাইড করেছি। ওভারটেকের সময় ও বেশ ভাল সাপোর্ট পেয়েছি। মাইলেজ নিয়ে সবারই প্রশ্ন যে মাইলেজ কেমন পেয়েছি। আমি ৩৫-৩৮ পেয়েছি।

আমি মনে করি ৩৫০ সিসি হিসেবে এই মাইলেজ যথেষ্ট এবং আলহামদুলিল্লাহ মাইলেজ নিয়ে আমি স্যাটিস্ফাইড। সিটি ইউজ নিয়ে যদি কথা বলি সিটিতে ৩০-৩১ মাইলেজ পেয়েছি, ৩০ এর নিচে কখনো পাইনি। তবে সিটিতে হেবি ট্রাফিকে ইউজ করলে বাইক টা হিট হয়। তবে অনেকে বলে যে অনেক হিট হয় ব্যাপার টা তা নয়, হিটিং সহনীয় মনে হয়েছে। 

Also Read: Royal Enfield Motorcycle Price In Bangladesh

ভাইব্রেশন নিয়ে ৯৯% মানুষের কনসার্ন ছিল এটা হয়তো প্রচুর ভাইব্রেশন করে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে ৩০ কি.মি এর বেশি স্পিড হলে ভাইব্রেশন টা ফিল করা যায় না। অপরদিকে ১০০ স্পিড ক্রস করলে সামান্য একটু ভাইব্রেশন অনুভূত হয়।

royal-enfield-hunter-350-user-review-robi-hasan-bikebd

মেইন্টেইনেন্স কস্ট নিয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ইফাদ থেকে যখন প্রথম ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করতে যাই আমাকে তারা বলেন একটি ইঞ্জিন অয়েল দিয়ে ৫০০০-১০০০০ কি.মি রাইড করা সম্ভব যেটা শুনে আমি একদম শকড। তাই বলা যায় মেইন্টেইনেন্স কস্ট মিনিমাম। 

ভাল দিকের মধ্যে বলতে গেলে হান্টার ৩৫০ এর টার্নিং রেডিয়াস কম, টায়ার ১৪০ সাইজের হওয়ায় ব্যালান্সিং ভাল এবং ব্রেক গুলো খুবই ভাল। সাথে এবিএস থাকায় মনে হয় মাটি কামড়ে চলছে ও থামছে।

খারাপ দিক নিয়ে বলতে গেলে প্রথম যে জিনিসটা আসে সেটা হচ্ছে এর সিটটা সিঙেল রাইডের জন্য খুবই ভাল, একটু স্বাস্থ্যবান পিলিয়ন যদি থাকে তবে রাইড করা টা কষ্টকর হতে পারে। আর সাসপেনশন টা একটু স্টিফ মনে হয়েছে, তবে আস্তে আস্তে এটি সফট হচ্ছে।

হেডলাইট সিটি রাইডের জন্য এনাফ গুড কিন্তু যখন হাইওয়েতে যাওয়া হবে ৬০+ স্পিডে ভিজিবিলিটি কম এবং অক্সোলারি লাইট ব্যবহার করা এক্ষেত্রে জরুরি। আর বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনে খুব কাদা জমে, বাইকের অধিকাংশ পার্ট মেটালের হওয়ায় নিয়মিত ক্লিনিং জরুরি। 

ওভারঅল বলতে গেলে আমি Royal Enfield Hunter 350 নিয়ে স্যাটিস্ফাইড। আমি মনে করি ৪ লাখ টাকার মধ্যে যদি কেউ সিটির মধ্যে এবং মাঝেমাঝে হাইওয়ে তে রাইড করার উপযোগী বাইক নিতে চান তাদের জন্য হান্টার ৩৫০ একটা বেস্ট চয়েস হবে। 



লিখেছেনঃ রবিউল হাসান


আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।