Royal Enfield Classic 350 শহরে ২৭-২৮ কিমি মাইলেজ পেয়েছি - দেবেশ রায়

This page was last updated on 02-Aug-2025 11:21am , By Raihan Opu Bangla

আদাব, আমি দেবেশ রায়। পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স সিনেম্যাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছি। আজকে আমি আমার Royal Enfield Classic 350 এর ১৯০০ কি.মি ইউজার রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। 

Royal Enfield Classic 350 শহরে ২৭-২৮ কিমি মাইলেজ

Royal Enfield Classic 350 শহরে ২৭-২৮ কিমি মাইলেজ

ছোট থেকেই আমার Royal Enfield এর বাইকগুলোর প্রতি আলাদা একটা টান ছিল। পরিবারের সাথে ভারতে প্রায়ই যাওয়া হতো এবং এই বাইকগুলো দেখতাম। তখন থেকেই মনে একটা ইচ্ছা ছিল যে বাংলাদেশে আসামাত্রই আমি Classic 350 মডেলটি সংগ্রহ করব। শুরু দিকে প্রি-বুকিং করলেও বাইকটি হাতে পেতে পেতে আমার মে মাসের মত সময় লেগে যায়। 

আমার বাইকটি Halocyn Black কালার এর। বাইকটি বেশ এটেনশন ড্র করে। বাইকটির ভাল দিকের মধ্যে বলতে গেলে বাইকটির টর্ক এবং ওয়েট ব্যালান্সিং আমার কাছে বেশ ভাল মনে হয়েছে।

হাইওয়ে তে আমি যে কোন বাহন বেশ ইজিলি ই ওভারটেক করতে পারি। যদিও প্রায় ২০০ কেজি এর একটা বাইক সিটি তে বেশ হেভি ফিল হয় কিন্তু হাইওয়ে তে এই ওয়েট এর কারনে স্ট্যাবিলিটি বজায় থাকে এবং পাশ দিয়ে অন্য কোন গাড়ী গেলেও বাতাসের ধাক্কাটা ফিল করা যায় না। 

Also Read: Bike Price In Bangladesh

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে বাইকটির হিটিং এবং ভাইব্রেশন ইস্যু কেমন। এটা সত্যি যে জ্যামের ভিতরে হিটটা বেশ ভাল রকম ফিল করা যায় কিন্তু হাইওয়ে তে কোন প্রকার হিটিং ইস্যু আমি পাইনি। আর ভাইব্রেশনের কথা বলতে গেলে তেমন ভাইব্রেশন নেই, হাই স্পিড ও হাই আরপিএম এ সামান্য ভাইব্রেশন লক্ষ্য করেছি।

বাইকের ব্রেকিং অসাধারণ, সাথে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস থাকায় বেশ কনফিডেন্স এর সাথে আমি ব্রেক করতে পারি। সিটিং কম্ফোর্ট এবং সাসপেনশন ফিডব্যাক ভাঙা রাস্তাতেও বেশ ভাল পরিমাণ সাপোর্ট আমাকে দিয়েছে। 

তবে বাইকের কিছু কিছু দিকে ইম্প্রুভমেন্টের জায়গা আছে আমি বলব। প্রথমত ট্যাপিড এর সাউন্ড নিজে থেকেই অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং সার্ভিস সেন্টারে যেয়ে এটি এডজাস্ট করে আনতে হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার।

Also Read: Royal Enfield Showroom In Bangladesh

যদিও সার্ভিস সেন্টার থেকে আন্তরিকতার সাথেই সার্ভিস করে দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে আরেকটু বেশি চালালে এই সমস্যা আর থাকবে না। আরেকটা জিনিস নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় সেটি হচ্ছে বাইকটির টায়ার টিউবলেস না। যদিও স্পোক রিম সাধারণত টিউবলেস হিসেবে আসে না এবং টিউবলেস এলয় রিমের অপশন ও এভেইলেবল আছে তারপরেও স্পোক রিমের ভেরিয়েন্ট টি টিউবলেস ভাবে আনলে চিন্তামুক্ত ভাবে রাইড করা যেতো। 

বাইকটি থেকে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ২৭-২৮ কি.মি এর মত। হাইওয়ে তে উঠলে ৩০-৩২ কি.মি এর মত মাইলেজ পাই। ৩৫০ সিসি এর বাইক হিসেবে এই মাইলেজ আমার কাছে যথেষ্ট বলেই মনে হয়েছে।

এছাড়াও এর মেইনটেনেন্স নিয়ে অনলাইনে অনেকের অনেক রকম প্রতিক্রিয়া শুনে আসছিলাম যা আসলে সত্য নয়। বেশ ভালভাবেই বাইকটি মেইনটেইন করতে পারছি এবং ইঞ্জিন অয়েল ব্যতিত এখন পর্যন্ত আমার কোন খরচই তেমন হয় নি। ইঞ্জিন অয়েল ও দীর্ঘদিন পর নাকি পরিবর্তন করতে হয়। ওভারঅল বাইকটি নিয়ে আমি খুবই স্যাটিসফাইড এবং আরো বহুদিন আমি রাইড করতে চাই। 

আশা করি আমার এই রিভিউটি যারা Classic 350 বাইকটি নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বেশ উপকারী হবে। 


লিখেছেনঃ দেবেশ রায়



আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।