শহরে চলাচলের জন্য Revoo C32Y ইভি বাইক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী - শারফুল আলম
This page was last updated on 09-Jul-2025 03:33pm , By Shuvo Bangla
আমি শারফুল আলম , ঢাকা বাড্ডা আফতাবনগর বসবাস করি । আমি একটা প্রাইভেট কম্পানিতে জব করি । বর্তমানে আমি Revoo C32Y মডেলের একটি ইভি বাইক ব্যবহার করছি এবং আজ আপনাদের সাথে আমার বাস্তব রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

এই বাইকটি কেনার পেছনে মূল কারণ ছিল এর আধুনিক ডিজাইন এবং প্রযুক্তিগত দিক। দেখতে স্মার্ট, চালাতে সহজ এবং সবচেয়ে বড় কথা এটি পরিবেশবান্ধব ও শব্দদূষণমুক্ত। কম খরচে চালানো যায়, কোনো ফুয়েল লাগে না, আর রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা প্রায় নেই বললেই চলে। আমার জীবনের গতি এবং পরিবেশ সচেতনতার মাঝে এক চমৎকার ভারসাম্য তৈরি করেছে এই বাইকটি।
আমি বাইকটি কিনেছি রামপুরার Revoo শোরুম থেকে। দামের দিক থেকেও এটি বাজারের অন্যান্য ইভি বাইকের তুলনায় বেশ যুক্তিযুক্ত লেগেছে। এখন পর্যন্ত আমি ৮০০ কিলোমিটারের বেশি চালিয়েছি এবং অভিজ্ঞতা এক কথায় দারুণ।

একবার ফুল চার্জে আমি গড়ে ৯০ কিলোমিটারের মতো রেঞ্জ পাচ্ছি, যা শহরের দৈনন্দিন চলাচলের জন্য যথেষ্ট। ফুল চার্জ হতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা, আর চার্জিং খরচ খুবই সামান্য সাধারণ ঘরোয়া বিদ্যুতেই কাজ চলে যায়।
সার্ভিসিং নিয়েও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। একবার ব্রেক ও হর্নে কিছু সমস্যা হয়েছিল, তবে Revoo-এর টেকনিশিয়ান খুব দ্রুত একদিনের মধ্যেই সমাধান করে দিয়েছেন। সার্ভিসিং সাপোর্ট দ্রুত ও সন্তোষজনক।

Revoo C32Y বাইকের ভালো দিক -
কম খরচ
বাজেট ফ্রেন্ডলি
চালানো আরামদায়ক সহজে ড্রাইভ করা যায়
রক্ষণাবেক্ষণ খুব কম লাগে
শহরের জন্য একদম পারফেক্ট
Revoo C32Y বাইকের খারাপ দিক -
ব্রেকিং সিস্টেমটা আরও ভালো হতে পারতো
সামনে ও পেছনে দুই জায়গায় ডিস্ক ব্রেক থাকলে আরও নিরাপদ হতো
এই বাইকের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি চালাতে বেশ আরামদায়ক এবং হালকা হওয়ায় শহরের ট্রাফিকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সর্বোচ্চ গতি পাই প্রায় ৬০ কিমি/ঘণ্টা, যা শহরের জন্য যথেষ্ট। অ্যাক্সেলরেশনও মসৃণ ও রেসপন্সিভ। তবে সবকিছুর মাঝে যদি কিছু বলতেই হয়, তাহলে বলব ব্রেকিং সিস্টেম আরও একটু উন্নত হতে পারতো। সামনে ও পেছনে ডিস্ক ব্রেক থাকলে নিরাপত্তার দিক থেকে আরও বেশি আস্থা পাওয়া যেত।
প্রথম দিকে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল—"EV কিনলে কি ঠিকমতো পারফর্ম করবে?" এমনকি অনেকে হাসাহাসিও করেছিল। কিন্তু এখন সেই মানুষগুলোই বাইকটি চালিয়ে দেখে মুগ্ধ এবং প্রশংসা করছে। এটাই আমার জন্য সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি। সবমিলিয়ে, Revoo C32Y বাইকটি আমার জন্য শুধু একটি যানবাহন না, বরং একটি স্মার্ট ও টেকসই চলাচলের সঙ্গী। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষ ইভি বাইকের দিকে ঝুঁকবে—কারণ এটি শুধু খরচ বাঁচায় না, বরং আমাদের পরিবেশের দিকেও সচেতন করে তোলে।
Revoo C32Y-এর মতো ইভি বাইকগুলো শহরজীবনের জন্য সত্যিকার অর্থেই আদর্শ। আপনি যদি খরচ কমাতে চান, পরিবেশ নিয়ে সচেতন হন, আর স্মার্ট কিছু খুঁজছেন তাহলে এমন একটি বাইক আপনারও হতে পারে সেরা পছন্দ। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ শারফুল আলম
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
