Honda Livo 110 বাইক নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা - শাকিব হোসেন
This page was last updated on 14-Aug-2024 07:00am , By Shuvo Bangla
আমার নাম মো শাকিব হোসেন। আমার বাড়ি নোয়াখালী মাইজদি আমি চাকরিরত আছি ফেনী ছাগল নাইয়া। আপনাদের সাথে আমি আমার Honda Livo 110 বাইকের সাথে কিছু রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
আমি চাকরিতে আসার পর চাকরির জন্য বাইক কিনে নিলাম হোন্ডা লিভো ডিস্ক ১১০ সিসি। এর আগে অনেক বাইক চালাইছি কিন্তু লিভো বাইকটা প্রথম অবস্থায় চালাতে খুবি ভালো লাগে। ব্রেক, ক্লাস,সব মিলিয়ে প্রথম অনুভুতি টা ছিলো দারুন সুন্দর যা বলার মতো না।
আমার কাকার একটা এই বাইক ছিলো সেটি চালানোর পর দেখতে ও চালাতে বাইকটি আমার খুব পছন্দ হয়। বাইকটির স্টাইল বলতে গেলে এই দামে এত সুন্দর বাইক পাবো কল্পনাও করি নাই। বাইকের ডিজেইন অনেক সুন্দর , লিভো লেখা টা গ্রিন কালার খুব ভালো ফুটে উঠে বাইকটিতে। ম্যাট গ্রে কালার তাই ডিজাইন এর সাথে বাইকটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলে।
বাইকটি দিয়ে আমি সর্বোচ্চ গতি পেয়েছি ৯৭ আরো উঠাতে পারতাম কি না জানি না। হাইওয়ে না থাকার কারনে উঠাই নাই। শহরের মধ্যে মাইলেজ আমার মনে হলো ৭০ পাচ্ছি ,আর হাইওয়েতে হিসাব করে দেখলাম ৭২ - ৭৩ মাইলেজ পাওয়া যায়।
বাইকটি ৬০ - ৬৫ স্পিডে মেইনটেইন করা যায় ইজি ভাবে কিন্তু এর উপরে উঠলে বাইকটা মেইনটেইন করা কঠিন হয়ে যায় । হাই স্পিডে বাইকটা ভাইব্রেশন করে কাপে অনেক।
Honda Livo 110 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- বাইকটি দেখতে অনেক সুন্দর দাম অনুযায়ী কোয়ালিটি ভালো
- বাইকটি এত টা ছোট না ১১০ সি সি হিসাবে দেখতে বড় ধরনের বাইকের মতোই লাগে
- ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো
- মাইলেজ তো সবার সেরা সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার
- সি বি এস ব্রেক থাকাতে ব্রেকিং সিস্টেম খুব ভালো
Honda Livo 110 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- গিয়ার ৪ টা তাই স্পিড ৬০ - ৬৫ বেশি করলে কাপে বাইকটা।
- তেমন একটা মডিফাই করার সিস্টেম নাই
ওজন কম হওয়ার কারনে স্পিডে রাইড করলে বাতাশ বেশি হলে নাড়াচাড়া করে বাইকটি - কাদা রাস্তায় কাদা ছিটে পড়ে অনেক বেশি
- টায়ার টা চিকন তাই স্লিপ করে অনেক
বাইকটিতে আমি কোন মোডিফিকেশন করি নাই । বাইকটি দিয়ে মুসাপুর ট্যুরে গেলাম সবার সাথে জিক্সার এর সাথে পালসার এর সাথে কম্পেয়ার করে সমান স্পিডে চালাতে পারছি। বাইকটি দিয়ে ট্যুর দিয়ে অনেক মজা পেয়েছি যা অন্য বাইকে আমি আর পাই নাই।
বাইকটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে হয় মাইলেজ নিয়ে কারন যারা বাংকে জব করে , এন জিও তে জব করেন তাদের গাড়ি নিয়ে প্রচুর ঘুরতে হয়। মাইলেজ ভালো না পাইলে আমাদের অনেক খারাপ লাগে বিশেষ করে দাম অনুযায়ী মাইলেজ আর কন্ডিশন টা অনেক ভালো তাই বাইকটা কিনে নিলাম।
যারা এন জিওতে জব করেন , মার্কেটিং জব করেন, সেলসম্যান, কুরিয়ার ম্যান, ডেলিভারি ম্যান তাদের প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। তাই আপনারা যারা মাইলেজ ভালো খুজছেন আউটলুক কন্ডিশন সব ভালো দিক খুজছেন তারা লিভো ডিস্ক ব্রেক ১১০ সিসি বাইকটি নিতে পারেন। আশাকরি বিষয় টা বুজতে পারছেন বাইক নিয়ে আমি আমার নিজের রাইডিং অনুভুতি প্রকাশ করলাম , ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মো শাকিব হোসেন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।