Honda CB Hornet 160R ১,০০০কিমি রিভিউ - শাহরিয়ার সুফল
This page was last updated on 18-Jul-2024 03:56am , By Saleh Bangla
২.৫ বছর আগে Honda CB Hornet 160R দেখার পর থেকে এর অনেক রকম রিভিউ দেখেছি। তবে কখনো ইন্ডিয়ার Honda CB Hornet VS NS, HORNET VS GIXER এই টাইপের রিভিউ দেখি নাই। কারন আমার কাছে এই ধরনের রিভিউ গুলা অনর্থক মনে হয়। কারন প্রত্যেকের পছন্দ আর রুচি আলাদা।
Honda CB Hornet 160R এর ফার্স্ট ইমপ্রেশন ভিডিও
Honda CB Hornet 160R ১,০০০কিমি রিভিউ - শাহরিয়ার সুফল
তবে কিছু ব্লগ পেয়েছিলাম যেখানে Honda CB Hornet 160R এর হাজার হাজার কিমি রাইড এর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যাঙ্গালুর থেকে মানারিলা, ব্যাঙ্গালুর থেকে হোজেনক্কালা ফলস এর মতো বড় বড় ট্যুর রয়েছে। আমি এখনো Honda এর একটা বাইকের রিভিউ দেয়ার মতো অভিজ্ঞ বা দক্ষ রাইডার হয় নাই। তাই রিভিউ না দিয়ে নিজের Honda Hornet এ প্রথম ১০০০কিমি এর অভিজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এই ১০০০ কিমি তে আছে ঢাকা সিটি এর অফিস যাওয়া আসা, ঢাকা চিটাগাং এর হাইওয়ে, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক এর পাহাড়ি পথ, অফরোড এর অভিজ্ঞতা খুবি সামান্য। যেহেতু ব্রেকিন শেষ হয় নাই তাই এখনি টপ নিয়ে কনো অভিজ্ঞতা নাই।
@সিটি রাইড- # কন্ট্রলিং আর ব্রেক অসাধারণ, যা সিটিতে নিরাপদ রাইড এর কনফিডেন্স দিবে। # সিটিং পজিশন অনেকটা স্পোর্টস হওয়ায় বাইক এ নিজেক অনেক বেশি কনফিডেন্ট মনে হবে। কিন্তু ব্যাক পেইন বা হাত ব্যাথা হবে না। # বাইকের উচ্চতা ৫'৮"+ এর জন্য সুবিধাজনক।
@লং রাইড- # বাইকে একটু সামনে বসলে আপনি সম্পূর্ণ সোজা হয়ে বসে রাইড করতে পারবেন। এতে যাদের ব্যাক পেইন আছে তারাও নিশ্চিন্তে লংরাইড উপভোগ করতে পারবেন। আবার সামান্য পিছিয়ে বসলে সম্পূর্ণ স্পোর্টস মুডে থাকবে। যা হাইস্পিডেও কনফিডেন্ট রাখবে। # ব্যাক্তিগত ভাবে Hornet এর আলো কম মনে হয় নি। তবে কুয়াশা এর সময় এই আলো কম মনে হতে পারে। # ৬০০০/৭০০০ এর উপর আরপিএম এ হ্যান্ডেল এ হালকা ভাইব্রেশন হয়, এটা কন্টিনিউয়াস ৫০/৬০ কিমি রাইডের ক্ষেত্রে বিরক্তিকর।
Also Read: Celebration Benefit Offer On Honda CB Hornet 2018
তবে ইঞ্জিন ফ্রি হয়ার সাথে সাথে ভাইব্রেশন অনেকটাই কমে গেছে। ২০০০/৩০০০ কিমি পর ইঞ্জিন ফুল ফ্রি হলে হয়তো এই ভাইব্রেশন থাকবে না। # অনেক সময় হাইওয়েতে ছোট ভাংগা বা বিট থাকে, Hornet এর শকএব্জরভার আর পারফরমেন্স বাইককে পুরোপুরি কন্ট্রল এ রাখতে সহায়তা করবে।
# ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে অভারটেক অথবা ব্রেক দুটাই নিরাপদ রাইডিং এর কনফিডেন্স দিবে। # সিট বেশ শক্ত, যা লং রাইডের জন্য আরামদায়ক না। # মাঝে মাঝে চাইনে হাল্কা শব্দ হয়, তবে এই শব্দ থিক কি কারন্ব তা বুঝি নাই এখনো।
@হিল ট্রাক # আকা বাকা পাহাড়ি রাস্তাই করনারিং অসাধারন, অনেকেই মোটা চাকা চিকন চাকা কনো ব্যাপার না বললেও। দুটার পারফরমেন্স যে আলাদা তা এড়িয়ে যাওয়ার কনো সুযোগ নেই। # ইনিশিয়াল পাওয়ার বেশী হওয়ায় ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত প্রেশার পাহাড়ি রাস্তাই প্রয়োজন নেই।
# বেশির ভাগ পাহাড়ি রাস্তায় ছোট নুড়ি অথাবা মাটি কিছু একটা থাকবেই। চাকার অসাধারণ গ্রিপ এই প্রতিকুলতা গুলা পার করতে সাহায্য করবে। বাইকের ব্রেকইন শেষ হলে আরো কয়েক হাজার পথ গেলে হয়তো আরো সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে।
লিখেছেনঃ শাহরিয়ার সুফল