Hero Karizma XMR 210 টেস্ট রাইড রিভিউ - টিম বাইকবিডি
This page was last updated on 22-Aug-2024 04:48am , By Raihan Opu Bangla
বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাইকারদের স্বপ্নের মোটরসাইকেল ছিল হিরো মোটর কর্প এর একটি স্পোর্টস মোটরসাইকেল। এই স্পোর্টস মোটরসাইকেল মডলেটির বাংলাদেশে একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাইকটি অনেক বাইকারের স্বপ্নের বাইক ছিল। তবে সিসি লিমিটেশন এবং অন্যান্য কারনে বাইকটি তখন বাজার থেকে ডিস্কন্টিনিউ করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে সিসি লিমিটেশন ৪০০ সিসি করার পর হিরো মোটরসাইকেল বাংলাদেশ তাদের এই বাইকটির নতুন এবং আপগ্রেড ভার্সন নিয়ে হাজির হয়েছে। হ্যা, আপনারা যেই বাইকটির কথা ভাবছেন এটি সেই বাইক, Hero Karizma XMR 210। আজ আমরা টিম বাইকবিডি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি Hero Karizma XMR 210 টেস্ট রাইড রিভিউ।
এই বছর হিরো বাংলাদেশে লঞ্চ করেছে তাদের সবচেয়ে আলোচিত মোটরসাইকেল Hero Karizma XMR 210। অনেক জাকজমক পূর্ন এক আয়োজনের মাধ্যমে এই বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করা হয়। বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে বাইকপ্রেমীরা এই ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করেছিল। এই বাইকটি সিসি লিমিটেশন আপগ্রেডের পর বাংলাদেশের প্রথম স্পোর্টস সেগমেন্টের মোটরসাইকেল হচ্ছে Hero Karizma XMR।
Hero Karizma XMR 210 টেস্ট রাইড রিভিউ
লুকস, গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন
বাংলাদেশের বাইকারদের কাছে লুকস এবং ডিজাইন অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তাই যখন লুকস এবং ডিজাইনের প্রশ্ন আসে তখন কারিজমা আপনাকে অবাক করবে। যারা আগের কারিজমা রাইড করেছেন বা দেখেছেন তাদের কাছে কারিজমার লুকস এবং ডিজাইন তাদের কাছে আবেগের নাম।
Also Read: Motorcycle Price In Bangladesh
তবে নতুন এই বাইকটি সম্পূর্ন নতুন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে করে বাইকটির নতুন লুকস এসেছে। বাইকটি এগ্রেসিভ হবার সাথে সাথে ডিসেন্ট লুকস দেয়া হয়েছে। তবে এর মাসকুলার লুকস সবাইকে আকর্ষণ করবে প্রথম দেখায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে বাইকটির তিনটি কালার লঞ্চ করা হয়েছে। আইকোনিক ইয়োলো, টার্বো রেড এবং ম্যাট ফ্যান্টম ব্ল্যাক এই তিন কালারে বাংলাদেশে পাওয়া যাবে বাইকটি। তবে ইয়োলা বা হলুদ কালারের বাইকটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।
ইঞ্জিন এবং পাওয়ার
বাইকটি দেখতে যেমন বেশ বড়সড় তেমন ইঞ্জিনও বেশ বড়। ইঞ্জিনের সক্ষমতা ও পাওয়ারের কথা যদি বলা হয় তবে বাইকটি বেশ পাওয়ারফুল একটি মোটরসাইকেল। হিরো এই বাইকটিতে দিয়েছে ৪ স্ট্রোক, ৪টি ভাল্ব যুক্ত, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড, DOHC, ফুয়েল ইঞ্জেকশন (এফআই) ইঞ্জিন দেয়া হয়েছে। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ২৫.৫ পিএস @ ৯২৫০ আরপিএম এবং ২০.৪ এনএম @ ৭২৫০ আরপিএম শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম।
স্ট্রিট স্পোর্টস মোটরসাইকেল হিসেবে এই বাইকটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা বেশ পাওয়ারফুল। বর্তমানে হায়ার সিসি স্পোর্টস মোটরসাইকেল হিসেবে বাইকটি অনেক পাওয়ারফুল একটি মোটরসাইকেল। তবে হিরো বাইকটিকে অনেক বেশি রিফাইন্ড এবং স্মুথ করে তৈরি করেছে। এই পাওয়ার ট্রান্সমিশনের জন্য হিরো এতে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত করেছে।
হুইল, ব্রেক এবং সাসপেনশন
হুইলের ক্ষেত্রে হিরো এবার দারূণ কাজ করেছে। তারা এই বাইকটিতে দিয়েছে এলয় রিম এবং প্রশস্ত স্ট্রিট স্পোর্টস টায়ার। এছাড়ার টায়ার গুলো হচ্ছে টিউবলেস টায়ার এবং সামনের দিকে দেয়া হয়েছে ১০০-৮০/১৭ সেকশন ও রেয়ারে দেয়া হয়েছে ১৪০-৭০/১৭ সেকশন টায়ার।
এবার ব্রেক এর কথায় যদি আসি, তবে বলতে হয় যে হিরো এই বাইকটিতে প্রশস্ত এবং আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হাইড্রোলিক ব্রেক যুক্ত করেছে। সামনের দিকে যুক্ত করা হয়েছে ৩০০মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের দিকে যুক্ত করা হয়েছে ২৩০মিমি ডিস্ক ব্রেক। ব্রেকিং কে উন্নত করা জন্য হিরো এতে যুক্ত করেছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস।
সাসপেনশনের ক্ষেত্রেও হিরো ক্যারিজমা তে আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। সামনের দিকে দেয়া হয়েছে ৩৭মিমি ডায়ামিটার সমৃদ্ধ এন্টি ফ্রিকশন ব্রাশের সাথে টেলিস্কোপিক ফ্রর্ক। অপর দিকে রেয়ারে দেয়া হয়েছে ৬ স্টেপ এডজাস্টেবল গ্যাস চার্জ মনোশক সাসপেনশন।
চেসিস, ফিচার্স এবং প্রযুক্তি
Hero Karizma XMR 210 বাইকটি ডিজাইন এবং এর বডি প্যানেল মুলত এর আগের ভার্সনের মতই রাখা হয়েছে। বাইকটিতে ক্যারিজমার ডিএনএ এবং এর মুল যে ট্র্যাক রেসিং ফিচার্স তা যুক্ত করা হয়েছে। এর চেসিসে যুক্ত করা হয়েছে স্টিল ট্রেইলস ফ্রেম এবং স্টিল টিউবলার সুইং আর্ম।
অপর দিকে বাইকটিতে সকল আধুনিক ফিচার্স এবং প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। প্রথম বাইকটি এরোডায়নামিক ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে স্ট্রিট স্পোর্টস হবার কারণে। এছাড়া এতে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, এফআই, লিকুইড কুল্ড, স্লিপার ক্লাচ, এলইডি হেডলাইটস এর সাথে ডিআরএল, এলইডি ইন্ডিকেটর, থ্রিপার্ট হ্যান্ডেল বার, স্প্লিট সিট সহ অনেক আধুনিক ফিচার্স।
এছাড়া এই বাইকটিতে আরও যুক্ত করা হয়েছে ডিজিটাল স্পিডোমিটার, এতে মোটরসাইকেলের যাবতীয় সকল তথ্য দেখা যায়। এই স্পিডোমিটারে স্পিড, ফুয়েল গজ, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেট, মেইনটেনেন্স ইন্ডিকেটর, আরপিএম, মাইলেজ সহ সকল তথ্য রয়েছে।
রাইডিং অভিজ্ঞতা
প্রথম হিরো ক্যারিজমা নিয়ে কিছু বলা দরকার। হিরো ক্যারিজমা যখন প্রথমবারের মত লঞ্চ করা হয় তখন এই বাইকটি বাংলাদেশের বাইকারদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় এবং পছন্দের মোটরসাইকেল ছিল। তবে সিসি লিমিটেশনের কারনে বাইকটি বাংলাদেশ তখন লঞ্চ করা সম্ভব হয়নি। তবে সিসি লিমিটেশন বাড়ানোর পর থেকে হিরো ক্যারিজমা প্রথম স্ট্রিট স্পোর্টস মোটরসাইকেল হিসেবে বাংলাদেশ লঞ্চ করা হয়।
যখন প্রথমবার টেস্ট রাইডের জন্য যাত্রা শুরু করি তখন আসলে ভাবিনি বাইকটি কেমন পারফর্মেন্স দেবে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বাইকটি রাস্তায় বেশ ভাল পারফর্ম করেছে। অনেকেই ভেবেছেন উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল তাই এর থেকে অনেক বেশি পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে। তবে বিষয়টি এর চেয়েও বেশি কিছু ছিল।
শুরু থেকে শুরু করা যাক। প্রথমেই যদি বলতে হয় তবে বলতে হবে এর লুকস ও ডিজাইন। বাইকটি শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত স্পোর্টি লুকস দেয়া হয়েছে। স্পোর্টি লুকস হবার পরও বাইকটিতে বেশ জেন্ট্যালম্যান একটা লুকস রয়েছে। অপর দিকে এরো ডায়নামিক হবার কারণে এগ্রেসিভ লুকসটিও বজায় থেকেছে।
বাইকটির এগ্রেসিভ লুকস আপনি অনুভব করতে পারবেন এর সামনের দিকে দেখলে। ক্যারিজমার এইচ শেপড এলইডি ডিআরএল হেডলাইটের কারনে বাইকটির লুকস দারূণ ভাবে ফুটে উঠেছে।
এছাড়া সাইড প্যানেল, মাড গার্ড, উইন্ড শিল্ড সহ কালার কম্বিনেশনের ক্ষেত্রে হিরো অনেক দারূণ কাজ দেখিয়েছে। এতে করে বাইকটির লুকস দারূণ ভাবে ফুটে উঠেছে।
যেহেতু ক্যারিজমা স্পোর্টস সেগমেন্টের মোটরসাইকেল, তাই বাইকটি কিছুটা বাল্কি এবং বড়। এতে করে হয়ত মনে হতে পারে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য। আসলে তেমনটি নয়, আপনি শহর বা হাইওয়েতে বাইকটি নিয়ে খুব সহজে রাইড করতে পারবেন।
হিরো ক্যারিজমাতে দেয়া হয়েছে থ্রি-পার্ট হ্যান্ডেলবার। এতে স্পোর্টি লুকস আরও ভাল ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া স্পোর্টি হবার পর হ্যান্ডেলবার আপ রাইট, তাই রাইডের সময় কোন পেইন অনুভব হয় না, আবার একটানা রাইড করা যায়। সেই সাথে খুব সহজে শহর এবং হাইওয়েতে বাইকটি ম্যানুভার করা যায়।
এই বাইকটির হেডলাইট নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এবার সেটি নিয়ে কথা বলা যাক, ক্যারিজমায় দেয়া হয়েছে এলইডি ডিআরএল প্রজেকশন হেডলাইট। লাইটের আলো নিয়ে যদি বলা হয় তবে বেশ ভাল পরিমাণ আলো দেয়, আপনি ৮০/৯০ কিলোমিটার স্পিডে ভাল ভাবেই ক্রজ করতে পারবেন।
তবে এই হেডলাইটের সবচেয়ে বড় ফিচার্স হচ্ছে আপনি যখন ই অন্ধকারে রাইড করবেন তখন অটোমেটিকলি লাইট অন হয়ে যায়। যা বর্তমানে অন্য কোন মোটরসাইকেল নেই।
এবার কথা বলা যাক বাইকটির ইঞ্জিন নিয়ে। যদিও এটা নিয়ে বলার তেমন কিছু নেই, তবুও বাইকটির ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে হিরো ব্যবহার করেছে ২১০ সিসি, ৪ স্ট্রোক, ৪টি ভাল্ব, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড, DOHC ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ২৫.১৫ বিএইচপি @ ৯২৫০ আরপিএম এবং ২০.৪০ এনএম @ ৭২৫০ আরপিএম টর্ক শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম।
রাস্তার পারফর্মেন্সের ক্ষেত্রে বলতে হয় যে বাইকটির রোড পারফর্মেন্স এর ক্ষেত্রে দারূণ। তবে কম আরপিএম বা লো আরপিএম এ বাইকটির ক্ষমতা অনুভব করতে পারবেন না। কিন্তু বাইকটি যখন ই ৫,০০০ আরপিএম পার করার পর বাইকটির ইঞ্জিনের শক্তি অনুভব করতে পারবেন।
৯০/১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত খুব স্মুথ ভাবে স্পিড তুলতে পারবেন। এরপর ধীরে ধীরে স্পিড তুলতে শুরু করে। আমরা আমাদের টেস্ট রাইডে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে বেশি সিসি মানেই বেশি গতি এই থিওরি আসলে ভুল।
ব্রেকিং এবং ব্যালেন্স নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। ব্রেকিং এবং ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে বাইকটি সমান সমান বলা যায়। সামনে এবং পেছনে উভয় জায়গাতেই দেয়া হয়েছে ডিস্ক ব্রেক। সামনের দিকে ৩০০ মিমি ডিস্ক এবং রেয়ারে দেয়া হয়েছে ২৩০মিমি ডিস্ক ব্রেক। সেফটি এবং ব্রেকিং কে উন্নত করার জন্য হিরো ডিস্কের সাথে যুক্ত করেছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস।
চাকার ক্ষেত্রে হিরো আপনাকে হতাশ করবে না। তবে হয়ত আরও ভাল করা যেতে পারত। সামনের দিকের ১০০/৮০-১৭ সেকশন টায়ার এবং রেয়ারে দেয়া হয়েছে ১৪০/৭০-১৭ সেকশন টায়ার। হয়ত সামনের দিকে ১১০ সেকশন টায়ার দেয়া হলে আরও ভাল হতে বলে আমার মনে হয়। তবে এমআরএফ এর টায়ার বেশ ভাল গ্রিপ ও ট্র্যাকশন প্রদান করে থাকে।
এই ব্রেকিং সিস্টেম এর সাথে হিরো আরও যুক্ত করেছে তাদের আধুনিক সাসপেনশন সিস্টেম। যদিও সামনের দিকে হিরো ব্যবহার করেছে কনভেনশনাল টেলিস্কোপি ফর্ক। এই ফর্কের সাথে দেয়া হয়েছে এন্টি ফ্রিকশন ব্রাশ এবং এর ডায়ামিটার হচ্ছে ৩৭মিমি।
তবে আমাদের মনে হয়েছে এই বাইকটিতে আপ সাইড ডাউন মানে ইউএসডি সাসপেনশন ব্যবহার করা উচিত ছিল। অপর দিকে রেয়ারে ব্যবহার করা হয়েছে ৬ স্টেপ প্রি লোডেড গ্যাস চার্জড মনোশক সাসপেনশন। যদিও শুরুর দিকে সাসপেনশন কিছুটা শক্ত থাকে। তবে দুটো সার্ভিসের পর এটি বেশ ভাল ফিডব্যাক প্রদান করে।
আবার এই সাসপেনশনের সাথে বাইকের সিটের একটি সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি হচ্ছে এই বাইকের রাইডিং ও পিলিয়ন সিট বেশ আরামদায়ক। তাই রাইডার বা পিলিয়নের বসে কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া স্লিট সিট হবার কারনে রাইডার ও পিলিয়নের মাঝে হালকা ফাকা থাকে। পিলিয়ন সিটের সাথে একটি গ্রাব রেইল দেয়া হয়েছে এতে করে পিলিয়নের ধরে বসতে কোন সমস্যা হবে না। স্পোর্টস মোটরসাইকে হবার পরও বাইকটির সিট বেশ আরামদায়ক।
ফিচার্সের দিক থেকে হিরো কোন ধরনের কমতি রাখার চেষ্টা করেনি। হিরো বাইকটিতে অনেক ফিচার্স দেয়ার চেষ্টা করেছে, যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এর ডিজিটাল মিটার বা ড্যাশবোর্ড ক্লাস্টার।
এই ডিজিটাল মিটারটিতে বাইকের সকল তথ্য একত্রে দেখা যায়। স্পিড, আরপিএম, ফুয়েল, মাইলেজ, ট্রিপ, মেইনটেনেন্স সহ সকল তথ্য একত্রে পাওয়া যায়। এছাড়া বাইকটির অন্যতম ফিচার্স হচ্ছে এর সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, মানে হচ্ছে সাইড স্ট্যান নামানো থাকলে বাইকটি স্টার্ট দেয়া যাবে না। রাইডারের সেফটির জন্য এই ফিচার্সটি যুক্ত করা হয়েছে।
Also Read: Hero Motorcycle Showroom In Bangladesh
হিরো মোটরসাইকেল এই বাইকটিকে সব ধরনের ফিচার্স দিয়ে বাইকারদের মন আকর্ষণ করা চেষ্টা করেছে। তবে এর স্ট্রিট স্পোর্টস ডিএনএ থাকার পরও বাইকটিতে কিছুটা কমিউটার স্বত্তা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু হিরোর পক্ষ থেকে সেভাবে কোন কমতি রাখা হয়নি।
প্রতিটি মোটরসাইকেলের কিছু ভাল খারাপ দিক রয়েছে। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক বাইকটির কিছু ভাল দিক ও খারাপ দিক –
Hero Karizma XMR 210 ভাল দিক –
- লুকস এবং ডিজাইন
- এইচ শেপড এলইডি প্রোজেকশন হেডলাইট এর সাথে ডিআরএল
- এলসিডি ডিস্প্লে এর সাথে কালার পরিবর্তন মোড
- এডজাস্টেবল উইন্ডশিল্ড
Hero Karizma XMR 210 খারাপ দিক –
- ট্র্যাকশন কন্ট্রোল বা কুইক শিফটার নেই
- মাইলেজ
- ইউএসডি সাসপেনশন নেই
- বিল্ড কোয়ালিটি
হিরোর চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। তবে বিল্ড কোয়ালিটি আরও ভাল করতে পারত। আপনি যদি স্পোর্টস বাইক থেকে বা আপনি একটি স্পোর্টস বাইকের আসল পারফর্মেন্স প্রত্যাশা করে থাকেন তবে এই বাইকটি আপনার জন্য নয়। কারণ খুব বেশি পারফর্মেন্স বাইকটি থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে হাইওয়ে বা শহরের প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য বাইকটি ব্যবহার করতে পারবেন।
আমাদের এই টেস্ট রাইড রিভিতে মবিল বাংলাদেশ, টোটাল টুলস, এপোলো টায়ার্স, গিয়ারএক্স বাংলাদেশ, মাইটি ম্যাক্স, ট্র্যাকার্স বিডি, ওয়েদার, মটো ম্যাকানিক, এফএনএম এলইডি, বিডি মটোশপ সহায়তা করেছে।
আশা করছি আমাদের টেস্ট রাইড রিভিউটি আপনাদের ভাল লেগেছে। বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।