This page was last updated on 30-Jul-2024 01:42pm , By Raihan Opu Bangla
আমি মধু । আমি মাগুরা জেলার ছেলে হলেও বর্তমানে যশোরে বসবাস করি। আজ আমি আমার ব্যবহার করা Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটি নিয়ে ১৫,০০০+ কিলোমিটার রাইড করার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
Bajaj Pulsar Ns 160 SD ১৫,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ
অনেকদিন ধরে ভাবছি আমার বাইকের একটি রিভিউ লিখব। অবশেষে আজ আমার রিভিউটি লিখেই ফেল্লাম। বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটিই আমার জীবনের প্রথম বাইক। এই বাইকটি নিয়েই আমার বাইকিং লাইফের শুরু ।
বাজাজ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বাইক আর এই জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই আমিও কিনে ফেলি একটা Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইক। আজ আপনাদেরকে এই বাইকটি সম্পর্কে ভালো এবং খারাপ কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের এটি কাজে আসবে।
ছোটবেলা থেকে বাইকের প্রতি আমার খুব আগ্রহ ছিল। বাইক মানুষকে প্রকৃতির সবচেয়ে কাছে নিয়ে যেতে পারে। পারিবারিক বিধিনিষেধ থাকলেও আমি ক্লাস ৮ থেকেই বাইক চালানো শুরু করি। কিন্তু আমি ক্লাস ৭ এ থাকতেই বাইক চালানো শিখে ছিলাম।
আমি প্রথম বাইক চালানো শিখি Apache RTR 150 দিয়ে। পালসার হল ১৫০ সিসি সেগমেন্ট এ বাংলাদেশ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইক। ছোটবেলাতে যখন আমি পালসার রাস্তায় দেখতাম তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল যে আমি বড় হয়ে একটি পালসার বাইক কিনবো।
বাইকটি ক্রয় করেছিলাম যশোরের অথোরাইজ ডিলার উওরা মটরস থেকে। এই বাইকের উপর বসতেই কেমন একটা ভাললাগা কাজ করে আমার।
আমি আমার বাইকটি ছোটখাটো ঘুরাঘুরির জন্য কিনেছি। লং ট্যুর দেওয়া হয়নি এখনো আর বর্তমানে লং ট্যুরের খুব একটা ইচ্ছাও নেই। এর লুকস, স্টাইল সবকিছু আমাকে আকর্ষণ করে। যার কারণে বাজারে আরো অনেক বাইক থাকলেও আমি পালসার বাইকটি ক্রয় করি।
Bajaj Pulsar NS 160 SD Review - Team BikeBD
আমি নিজে বাইকটি কিনতে যাইনি। এমনকি আমি জানতামও না যে আমার একটি বাইক হতে যাচ্ছে। এটি ছিল আমার জন্য অনেক বড় একটি উপহার। আমি আমার ফুপি বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে দেখি আমাদের বাসার নিচে একটি নতুন বাইক।
প্রথম দিন যখন আমি নিজের Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটি চালাই সেটা ছিল অন্যরকম এক অনুভূতি। আমি খুবই খুশি ছিলাম যে এটি আমার নিজের বাইক এবং পছন্দের একটি বাইক। সেদিনের কথা আমি কখনো ভুলব না।
আমার Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটি 160 সিসির একটি বাইক। এটিতে রয়েছে শক্তিশালী ১৬০ সিসি DTSI ইঞ্জিন। এটির ইঞ্জিন থেকে ১৩.২৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এটি একটি ৪ স্টোর্ক, ২ ভাল্ব এর ইঞ্জিন। আমার বাইকে আমি পার লিটারে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছি ।
বাইকের তেমন কোন মডিফিকেশন করার কোনো ইচ্ছা নেই আমার। তবে এর হেডলাইটের আলো আমার কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি। তাই ফগ লাইট লাগাতে চাই। কারণ রাতের বেলা বাইক রাইড করতে কিছুটা সমস্যা হয় আলোর স্বল্পতার জন্য।
আমি প্রতি সপ্তাহে একবার নিজের বাইক নিজেই ওয়াশ করি এবং বাইক ওয়াশ করার জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করি। আমার Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটির সার্ভিস করানোর সময় কিছু পার্টস পরিবর্তন করেছি।
Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটির কিছু ভালো দিক -
সিটিং পজিশন আমার কাছে বেশ কম্ফোর্টেবল মনে হয়েছে।
উভয় সাসপেনশন অফরোডেও বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
মাইলেজ বেশ ভালো
লুকস আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে
ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স যথেষ্ট ভালো
Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
CBS বা ABS নেই।
পিলিয়ন সিট কম্ফোর্টেবল নয় ।
পেছনের চাকা চিকন ।
হেডলাইটের আলো কম ।
টপ স্পিডে ৬ নং গিয়ারের অভাব
বাইকটি নিয়ে এই পর্যন্ত আমি কোন লং ট্যুরে যাইনি। তবে আমি যেটুকু চালিয়েছি আমার মনে হয়েছে এটি লং ট্যুরেও বেশ ভালো পারফরম্যান্স দিবে।
যারা এই বাজেটে একটু ভালো বাইক কিনতে চাচ্ছেন তারা Bajaj Pulsar Ns 160 SD বাইকটি দেখতে পারেন। বাইকটির কন্ট্রোলিং, লুকস, মাইলেজ খুবই ভালো। আমি আমার বাইক নিয়ে খুবই খুশি। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মধু
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।