This page was last updated on 18-Aug-2025 11:04am , By Shuvo Bangla
আমি তমাল উল্লাহ্। আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করি । আমার বাইকটি নিয়ে আপনাদের কাছে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Also Read: Bajaj Bike Showroom in Boalkhali: Sumaiya Bajaj (Chittagong)

আমি পুরান ঢাকা দয়াগঞ্জ থাকি। আমার জীবনের প্রথম বাইক Bajaj Pulsar 150 । বাইকটি ২০১০ এর মডেল। সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক ভার্শন ।
বাইক এর প্রতি ভালোবাসা কি আর বলে শেষ করা যায় নাকি। বাইক মানেই সুখ। বাইক মানেই ভালোবাসা। এই ভালোবাসা কোনোদিন ধোঁকা দেয় না। আমি যেদিকেই যাই আমার পাশেই থাকে।
পালসার বাইক প্রত্যেকটা মানুষের পছন্দ। সব বয়স এর মানুষকেই পালসার বাইকে বেশ ভালো মানায় । আমার একালার বড় ভাই থেকে বাইকটা ক্রয় করি ২০২০ সালে। আর সব থেকে ভালো লাগলো আমার পছন্দের ব্লু কালার টা আমি পেয়েছি। বড় ভাই একজন ব্যাংকার। উনি শুধু ব্যাংক এর কাজের জন্য বাইকটি ব্যাবহার করত।


Also Read: Bajaj Eid Ul ADHA Offer

উনি ব্যাংক এর ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেলেন। তখন তাকে ব্যাংক থেকে প্রাইভেট কার কিনার জন্য বলা হয়ে ছিল তাই উনি আমার কাছে বাইকটি বিক্রি করলো। খুবই ফ্রেশ কন্ডিশন একটি বাইক পেয়েছি। ৪৫,০০০ কিলোমিটার উনি চালিছেন।আমি উনার কাছ থেকে ৮০০০০ টাকায় বাইকটি ক্রয় করেছি ।
বাইকটি উনি
Bajaj Showroom থেকে কিনেছিল। যখন বাইক টা ভাই এর কাছ থেকে রিসিভ করতে গেলাম মজার বিষয় হচ্ছে তখন আমি বাইক চালাইতে পারতাম না। তখন আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে পিছনে বসিয়ে ওইদিন অনেক ঘুরেছিল। এর পর দিন শুক্রবার ছিল । একদিনে মোটামুটি ভালো বাইক চালানো শিখলাম।
Also Read: Bajaj V12 Price in BD
প্রথম বার বাইক চালানোর অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে না। অন্য রকম ছিল সব কিছু। খুবই ভালো লেগেছিলো। এই ভালো লাগা এক মাত্র আমিই অনুভব করেছি। হাত পা ব্যালান্স করতে পারতাম না অনেক ভয় ছিল। যখন মোটামুটি কন্ট্রোল করা শিখলাম ওই একদিনে ১৫০ কিলোমিটার বাইকটি রাইড করলাম।
সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে আমি ২২ দিন বাইক চালিয়ে আমার বাইক দিয়ে কক্সবাজার ট্যুর দেই। এর ১০ দিন পর সিলেট ট্যুর দিলাম। তারপর থেকে অনেক জায়গায় যাওয়া হয়েছে। যেহেতু বাইক টি সেকেন্ড হ্যান্ড ছিল তাই মাইলেজ খুব ভালো পাইনি ।
Also Read: দাম কমলো বাজাজের তিনটি মোটরসাইকেল এর
১ লিটারে ২৫-২৮ কিলোমিটার মাইলেজ পেয়েছি। বাইকটি এই ২ বছরে ১০- ১২ বার মাস্টার সার্ভিস করিয়েছি। আমাদের এলাকার দক্ষ সার্ভিস সেন্টার থেকে। বাইকের যত্ন নিজের থেকে বেশি নেওয়া হয়। বাইক কে সপ্তাহে ২-৩ বার ফোম ওয়াশ করি।

Also Read: Bajaj Bike Showroom in Mirzapur: A N Traders (Tangail)
আমি বাইকে Castrol 20W50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করি। যার বর্তমান দাম ৫৭০ টাকা। এতে আমার বাইকের ইঞ্জিন গরম কম হয়। পারফর্মেন্স খুবই ভালো পাই। বাইকের মোটামুটি অনেক পার্টস পরিবর্তন করেছি যেমন: কার্বুরেটর ,ক্লাচ প্লেট,পুরো হেড লাইট সেট আপ, চেইন সেট, পিছনের টায়ার,মাস্টার সিলিন্ডার, গিয়ার শিফটিং রড ও লিভার
বাইকে কোন মডিফাই করা হয় নি। শুধুমাত্র R15 v2 এর সাইলেন্সার ক্যাপ বসিয়েছি সাউন্ড টা ভালোর জন্য। বাইকের সর্বোচ্চ স্পীড পেয়েছি ১২৬ মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়েতে।
Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- কমফোর্ট সিটিং পজিশন
- পার্টস এর দাম কম
- সব জায়গায় পার্টস পাওয়া যায়
- লং ট্যুরে কোনো প্রকার ঝামেলা হয় না।
- বিল্ড কোয়ালিটি ভালো
Also Read: Bajaj Pulsar 200NS (2015) Price in BD
Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- সাউন্ড ভালো থাকে না
- চেইন সেট তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়
- টপ স্পীড কম
- দ্রুত স্পীড উঠে না
- ব্রেক তাড়াতাড়ি ক্ষয় হয়

বাইক নিয়ে সব থেকে লম্বা ভ্রমণ ঢাকা থেকে কক্সবাজার । খবই মজার ভ্রমণ ছিল। ৫ টা বাইকে ১০ জন বন্ধু গিয়েছিলাম।
Bajaj Pulsar বাইক চালায় নাই এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। এক কথায় অনেক ভালো একটি বাইক। আমার কাছে আমার বাইক কোটি টাকার সুখ ।
Bajaj Bike Price in Bangladesh সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ তমাল উল্লাহ্
আপনিও আমাদেরকে
আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন।
মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন
articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।