Bajaj Pulsar 150 বাইক নিয়ে ৩০ হাজার কিলোমিটার রাইড - সোহান
This page was last updated on 01-Aug-2024 07:07pm , By Shuvo Bangla
আমি সামিউল ইসলাম সোহান । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে ৩০ হাজার + কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।আমি পীরগঞ্জ এর ঠাকুরগাঁও বসবাস করি । আমার জীবনের প্রথম বাইক Bajaj Pulsar 150 সিসি এটি আমি ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি Bajaj Showroom থেকে নতুন ক্রয় করি ।
প্রথমত এই বাইকটি সব বয়সী মানুষের সাথে মানানসই । দেখতেও সুন্দর , পার্ফরমেন্স ও খুব ভালো । দ্বিতীয়ত এটি রিজেনাবল প্রাইজের মধ্যে লং লাস্টিং একটি বাইক । তৃতীয়ত এর ইঞ্জিন পারফরম্যান্স বরাবরেই ভাল দিয়ে আসছে।
বাইকটির লুকস সুন্দর , টেকসই এবং পার্টসের সহজলভ্যতার জন্য বাইকটি ক্রয় করি । আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন এর বাজার মূল্য ছিল ১,৭৬,০০০ টাকা । বাইকটি আমি Bajaj Bike এর শোরুম উত্তরা মটরস, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর শাখা থেকে কিনেছিলাম।আমি ২৪ শে জানুয়ারি সকালে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও সদরে আসি তারপর ঠাকুরগাঁও উত্তরা মটরসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাদের কাছে আমার কাংখিত বাইকটি স্টকে নেই তাদের কাছে প্রি-ওর্ডার করতে হবে, ততখনাত আমি দিনাজপুরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাদের কাছে একটিমাত্র বাইক আছে আমি তখন দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হই যাত্রাপথে বীরগঞ্জের শোরুমে আমি আমার কাংখিত বাইকটি পেয়ে যাই।
বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতির বর্ননাতিত। বাইকের ফিচারগুলোর মধ্যে এর ফ্রন্ট ডিক্স ব্রেক, সেল্ফ স্টার্ট, স্মুথ ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স আমার ভালো লেগেছে । আমার বাইকটি ৪-৫ বার সার্ভিস করিয়েছি । নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন , চেইন লুব দেওয়া, চাকার হাওয়া চেক করাই।২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে মাইলেজ পেয়েছি ৪৫ এর পরে বাইকের মাইলেজ ৪০ এর মত পাই। বাইকের প্রতিনিয়ত সাউন্ড চেক, হাওয়া চেক, ইঞ্জিন অয়েল এর পরিমান চেক , ব্রেক চেক করে পরিষ্কার করি।
আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েল হচ্ছে মটুল যার দাম ১২০০ টাকা ইঞ্জিন অয়েলটি সিন্থেটিক। বাইকে মডিফিকেশন এর মধ্যে ইঞ্জিন গার্ড লাগিয়েছি। বাইকটি দিয়ে তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১১৭ ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকটির ৫টি ভালো দিক -
- লুকিং
- মাইলেজ
- লং লাস্টিং
- কন্ট্রলিং
- রিসেল ভ্যালু
Bajaj Pulsar 150 বাইকটির ৫টি খারাপ দিক -
- চেইন ল্যুজ
- টাইমিং চেইনের প্রব্লেম
- লং রাইডে ইঞ্জিন সাউন্ড পরিবর্তন হয়
বাইকটি দিয়ে আমার লম্বা দুরত্বের ভ্রমন ঢাকা-ঠাকুরগাও প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং ট্যুর এ বাইকটির পার্ফরমেন্স মাশাল্লাহ অনেক ভাল পেয়েছি। আমি আমার বাইকটি নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট, আশা রাখি বাইকটি আমার ভরসা আর আস্থা রাখবে। ধন্যবাদ ।