AIMA F626 ইলেক্ট্রিক স্কুটার স্টাইলিশ ও লো মেইনটেনেন্স স্কুটার - মোঃ আব্দুর রাকিব

This page was last updated on 30-Sep-2025 03:49pm , By Arif Raihan Opu

বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক ভেহিকল বা ইলেক্ট্রিক স্কুটারের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। স্বল্প দুরত্ব বা ছোট রাইডের জন্য ইলেক্ট্রিক স্কুটার দৈনন্দিন যাত্রাকে আরও সহজ করে দিয়েছে। সম্প্রতি আমি মোঃ আব্দুর রাকিব একটি ইলেক্ট্রিক স্কুটার ক্রয় করেছি। এই স্কুটারটি হচ্ছে AIMA F626। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার এই স্কুটারটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। 

মুলত এই স্কুটারটি হচ্ছে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ডিএক্স নিউ এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এটি ডিক্স গ্রুপের একটি অঙ্গ সংস্থান। 

AIMA F626 মালিকানা রিভিউ 

aima-f626-price-onwership-review

ডিজাইন এবং স্টাইল

এই স্কুটারটির ডিজাইন এবং স্টাইল বেশ সুন্দর। আমার কাছে প্রথম দেখায় ভাল লেগেছে। বিশেষ ভাবে এর সামনের দিকের হেডলাইট ডিজাইন। ডিজাইনটিতে আইমা এর লোগো দিয়ে ডিআরএল যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উপরের দিকে রয়েছে এর ইন্ডিকেটর লাইটস যা এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। 

Also Read: EV Price In Bangladesh

এছাড়া এর কার্ভি হ্যান্ডেলবার এর মাঝে সম্পূর্ন ডিজিটাল স্পিডোমিটার দেয়া হয়েছে। এতে করে এর স্টাইল ও ডিজাইনের সৌন্দর্য আর বেশি ফুটে উঠেছে। এর সাথে সাইড প্যানেল থেকে রেয়ার ফিনিশিং ও কালার কম্বিনেশনও দারূণ হয়েছে। বলা যায় স্টাইলের দিক থেকে এটি বেশ আকর্ষণীয় একটি স্কুটার। 

এছাড়া ডিজিটাল মিটারে সকল ধরনের তথ্য খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায়। আপনার ব্যাটারির চার্জ, ইন্ডিকেটর, স্পিড সব কিছু স্পষ্ট। 

ব্যাটারি, মোটর ও পারফর্মেন্স

এই AIMA F656 স্কুটারটি মুলত একটি ই স্পোর্ট স্কুটার। এতে দেয়া আছে ৮০০ ওয়াটের একটি শক্তিশালী মোটর এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে ৭২ ভোল্ট ২২ এম্পিয়ার ব্যাটারি। ব্যাটারি এবং মোটর পাওয়ারের সংমিশ্রণ স্কুটারটি সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা স্পিড তুলতে সক্ষম।

Also Read: AIMA EV Price In Bangladesh

এটি চার্জ হতে সময় নেয় ৬/৮ ঘণ্টা। তবে ভাল বিষয় হচ্ছে এটি বাসার বৈদ্যুতিক চার্জ পয়েন্ট থেকেই চার্জ দেয়া যায়। এর রেঞ্জ হচ্ছে ৮০ কিলোমিটার। তাই শহরে বা বাসা বাড়ির দৈনন্দিন কাজে এই স্কুটারটি বেশ ভাল একটা ফিডব্যাক প্রদান করে থাকে। 

হুইল, ব্রেক এবং সাসপেনশন

স্কুটারটি মুলত শহরে রাইড করা বা স্বল্প দুরত্বে রাইড করতে এই স্কুটারটি আপনার জন্য অন্যতম অপশন হতে পারে। স্কুটারটিতে দেয়া হয়েছে এলয় রিম এর সাথে ৩.০-১০ সাইজ টিউবলেস টায়ার। 

অপর দিকে সামনের দিকে দেয়া হয়েছে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের দিকে দেয়া হয়েছে কনভেনশনাল ড্রাম ব্রেক। আর এই ব্রেকের সাথে যুক্ত করা হয়েছে সামনের দিকে হাইড্রোলিক টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে দেয়া হয়েহে স্প্রিং লোডেড শক অবজারভার। 

সব মিলিয়ে এটি ইলেক্ট্রিক স্কুটার হিসেবে বেশ দারূণ বলা যায়। আমি ব্যবহার করার পরে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন এটি রাইড করতে কেমন লাগে। বিশেষ ভাবে বললে রাইড করা অনেক সহজ বিধায় আমি দৈনন্দিন যাতায়াতে ব্যবহার করছি। 

এছাড়া চার্জ দেয়ার খরচ অনেক কম, সেই সাথে মেইনটেনেন্স খরচও অনেক কম। তাই আমার অনেক সাশ্রয় হয়। পেট্রল বা অকটেন এর ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যেত। তাই আমার মনে হয় খরচের কথা চিন্তা করলে ইলেক্ট্রিক স্কুটার অনেক বেশি সাশ্রীয় হবে। ধন্যবাদ। 

 

লিখেছনঃ মোঃ আব্দুর রাকিব

 

 

 

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।