সিকেডি সংশোধনী - মোটরসাইকেল আমদানির জটিলতা কাটল!
This page was last updated on 16-Jul-2024 10:47am , By Raihan Opu Bangla
দেশে মোটরসাইকেল আমদানির জটিলতা কেটেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে সিকেডির (সম্পূর্ণ বিযুক্ত অবস্থা) সংজ্ঞায় সংশোধনী এনেছে। এতে বন্দরে যেসব ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের চালান আটকে ছিল, তা এবার খালাস করা সম্ভব হবে। এতে করে বাজারে অনেক দিন থেকে মোটরসাইকেল এর ঘাটতি পূরণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সিকেডি সংশোধনী - মোটরসাইকেল আমদানির জটিলতা কাটল!
সব মিলিয়ে যাঁরা এত দিন পছন্দের মডেলের মোটরসাইকেল কেনার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদের অপেক্ষার অবসান হবে।দেশে এখন কিছু ব্র্যান্ডের উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেল বিযুক্ত অবস্থায় আমদানি করে সংযোজন করা হয়। তবে সম্প্রতি সিকেডির সংজ্ঞা নিয়ে জটিলতায় বন্দরে মোটরসাইকেলের চালান আটকে যায়। আর এই কারণে বাংলাদেশের বাজারে অনেক দিন থেকে অনেক মোটরসাইকেল মডেলের ঘাটতি দেখা যায়।
তবে সেই অপেক্ষার অবসান এবার শেষ হতে যাচ্ছে। বিএমএএমএ গত ২২ নভেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, ২৩ বছরে মোটরসাইকেল প্রযুক্তিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই সিকেডির সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি।
যার কারণে বিএমএএমএ সিকেডি এর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনার জন্য সময় নিয়েছিল। আমদানিকারকেরা জানিয়েছিলেন, ১৯৯৭ সালে সিকেডির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর প্রযুক্তি এখন অনেক বদলে গেছে। যেমন আগের সংজ্ঞায় মোটরসাইকেলের টায়ার ও টিউব আলাদাভাবে আমদানির কথা বলা আছে। কিন্তু বর্তমানে উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেলের টায়ারে টিউবই থাকে না।
আমদানিজনিত জটিলতায় দেশের বাজারে মোটরসাইকেলের সরবরাহে টান পড়েছিল। এখন কিছু কিছু ব্র্যান্ডের কাছে উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেলের সরবরাহ নেই।
বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বেলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএএমএ) বিষয়টি নিয়ে গত ২২ নভেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, ২৩ বছরে মোটরসাইকেল প্রযুক্তিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইনজেকশন, অ্যান্টি–লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস), এয়ার কুলিং সিস্টেম ইত্যাদি প্রযুক্তি যোগ হয়েছে।
তাই সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি। সুব্রত রঞ্জন দাস, নির্বাহী পরিচালক, এসিআই মোটরস, তিনি বলেছেন বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বেলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তোলার পর শিল্প মন্ত্রণালয় ও এনবিআর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে সমস্যাটির সমাধান হয়েছে। এখন বাজারে উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেলের ঘাটতি দূর হবে।
এবার বাংলাদেশে উচ্চ প্রযুক্তির অনেক মোটরসাইকেল আমরা খুব শীঘ্রই দেখতে পাবো। এনবিআর গত ২৮ জানুয়ারি এক চিঠিতে সংজ্ঞা পরিবর্তনের বিষয়টি জানায়। এতে দেখা যায়, নতুন প্রযুক্তি গুলো সিকেডির সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন সাধারণ প্রযুক্তির মোটরসাইকেল ব্রেক প্যানেল আলাদা থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
একইভাবে সাধারণ মডেলে ফুয়েল ট্যাংক অ্যাসেম্বলি আলাদা থাকবে। তবে উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। এ রকম ১৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয় এনবিআরের চিঠিতে।চিঠিতে আরও বলা হয়, নতুন সংজ্ঞার আলোকে মোটরসাইকেলের সিকেডি হিসেবে আমদানি করা চালানগুলো খালাস করতে হবে।
দেশে এখন কমপক্ষে সাতটি সুপরিচিত ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের কারখানা হয়েছে; ভারতের বাজাজ, টিভিএস ও হিরো, জাপানের হোন্ডা, সুজুকি ও ইয়ামাহা এবং একমাত্র দেশীয় ব্র্যান্ড রানার।
সিকেডির সংজ্ঞা সংশোধনের বিষয়ে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বিপণনকারী এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বেলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তোলার পর শিল্প মন্ত্রণালয় ও এনবিআর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে সমস্যাটির সমাধান হয়েছে। এখন বাজারে উচ্চ প্রযুক্তির মোটরসাইকেলের ঘাটতি দূর হবে।