বাইক নামক স্বপ্ন কেউ পুরন করতে পারে কেউ পারে না - আসিফ

This page was last updated on 19-Nov-2023 04:49am , By Shuvo Bangla

আমি মোঃ আসিফ হোসেন। আমি ময়মনসিংহে থাকি। বাইক নামক স্বপ্ন কেউ পুরন করতে পারে কেউ পারে না । আজ আপনাদের সাথে আমি Bajaj Pulsar 150 বাইকের ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

Bajaj Pulsar 150

বাইক নামক স্বপ্ন কেউ পুরন করতে পারে কেউ পারে না - আসিফ


বাইক এর প্রতি আমার ভালোবাসাটা ৪-৫ বছর ধরে। আমি বাইক চালানো শিখি ৫০ সিসি একটা বাইক দিয়ে। বাইকিং আমার ভালো লাগে কারন এটা দিয়ে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করা যায়। বাইক দিয়ে অন্য কোন যানবাহন এর চেয়ে খরচ কম। তাই যে কোন জায়গায় কম খরচ এ যাওয়া যায়।

বাইক সবার কাছেই একটা স্বপ্ন। কিন্তু এই স্বপ্ন কেউ পুরন করতে পারে আর কাউ পারে না। আমার বাইক নাই তাই প্রথমে বাইক রিভিও দিতে চাই নাই পড়ে বাইক বিডি এর মোডারেটর এর কাছে বললাম যে আমার পছন্দের বাইক এর রিভিও দেয়া যাবে কি না। তার পর বলে যে দেয়া যাবে তাই দিতেসি।

Bajaj Pulsar 150

আমার পছন্দের বাইক হল বাজাজ এর Bajaj Pulsar 150 এই বাইকটি কারন এটার লুকস এবং দাম । এই দাম এ খুব ভালো একটি বাইক । দীর্ঘ দিন ব্যবহার করার জন্য এই বাইকটা ভালো। এই বাইকটা আমার মামার , তাই আমার মাঝে মাঝে চালানো হয়। চালিয়ে আমার কাছে ব্রেকিং,কন্ট্রোল ভালই লাগে ।

বাইকটির মাইলেজ দেয় ৩৫-৪০। বাইকটা ১ বছর হয়ে গেছে তাও এখন ও নতুন এর মত লাগে। বাইকটি আগে খুব জনপ্রিয় ছিল। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। তার কারন হচ্ছে এর ডিজাইন কোন পরিবর্তন করে না । সেই আগের মডেলই রয়ে গেছে। আমার মতে এর একটু পরিবর্তন করলে ভালো হত।

Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • বাইকটার লুক্স সুন্দর।
  • ফ্যামিলির ইউজ এর জন্য এটা ভালো ৩ জন সুন্দর ভাবে চালানো যায় ।
  • কন্ট্রোল ভালো।
  • ব্রেকিং ভালো।

Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • মাইলেজ একটু কম।
  • একটু রাফ চালালে সাউন্ড নষ্ট হয়ে যায়।
  • চাকা চিকন ।

Bajaj Pulsar 150

এই বাইকটি দিয়ে কিছু লং ট্যুর দেই খুব ভালই পার্ফরমেন্স। কোন সমস্যা করে না। একটু রেস্ট দিয়ে দিয়ে চালালেই পারফমেন্স খুবই সুন্দর করে। আমি পিলিয়ন হিসেবে ৩০০ কিলোমিটার রাইড করি। তাও কোন সমস্যা হয় নাই।

এই বাইকটি সার্ভিস এর জন্য আমি সবসময় সাথে যাই । বাইকটি এই পর্যন্ত ৭০০০ কিলোমিটার চলেছে। এখন পর্যন্ত বড় কোন ধরনের সমস্যা হয় নাই। এত দিন শুধু ফ্রি সার্ভিস গুলো দেওয়া হয়েছে।

এই বাইকটিতে প্রথম থেকে shell advance 20w50 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। মিনারেল টাই ব্যবহার করি। বাইকটার সর্বোচ্চ স্পীড আমি দেখেছি ১১৫। এর বেশি চেষ্টা করি নাই।

বাইকটি ছোট সময় দেখতাম। তখন এই বাইকটাই বেশি দেখতাম। তাই এটার প্রতি একটা ভালোবাসা আগে থেকেই। চাকা একটু ছোট বলে হাই স্পিডে স্লিপ করে। একটু বড় হলে ভালো হত।

এর পিছনের ডুয়েল সাস্পেন্সন দুটি খুবই ভালো কাজ করে। খারাপ রাস্তায় ও ভালো ফিডব্যাক দেয়। সিঙ্গেল সিট থাকায় ২ জন খুব সুন্দর বসা যায়। দরকারে ৩ জন ও বসা যায়।

বাইকটির পিছনের টেল লাইট অনেক ভালো দেখা যায়। আলো অনেক বেশি। হেড লাইট এ দিয়েছে হেলজেন বাল্ব। যা সিটি এর জন্য ভালো হলেও হাইওয়ের জন্য চলে না। যার জন্য এক্সট্রা ফগ লাইট লাগানো লাগে। ট্যাংক টা অনেক বড় যাতে ১৫ লিটার তেল ধরে।

Bajaj Pulsar 150

এটা খুবই ভালো যে লং ট্যুরে গেলে তেল এর জন্য বেশি সমস্যা হবে না। স্বাভাবিক এর তুলনায় ইঞ্জিন একটু বেশি গরম হয়। যাই হোকনা কেন এই ইঞ্জিন লং টাইম ব্যবহার করার জন্য খুব ভালো একটি বাইক। অবশেষে সব দিক মিলিয়ে এই বাইকটি খুবই ভালো একটি বাইক।

অন্য সব বাইক আর তুলনায় এটার দাম একটু কম। তাই এই বাইকটি আমার ভালো লাগে। এই রিভিওটি আমি আমার ধারনা থেকে দিয়েছি সবার সাথে নাও মিলতে পারে। সম্পূর্ণ লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যাবাদ ।

লিখেছেনঃ মোঃ আসিফ হোসেন
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।