ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি!

This page was last updated on 08-Jul-2024 02:55pm , By Md Kamruzzaman Shuvo

চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানতে পারে পুলিশ। গতকাল দুপুরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের সদস্য মো. ইউসুফকে দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাকি চার আসামি মো. আরিফ, মো. শাহেদ, আমানত উল্লাহ ও মো. ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ছয়টিসহ মোট আটটি মোটরসাইকেল ও অন্য একটির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

চোরাই মোটরসাইকেল

আসামিরা ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে অন্যান্য এজেন্টদের সহায়তায় ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকায় মোটরসাইকেল বিক্রি করত। এই ঘটনায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার এএএম হুমায়ুন কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রত্যেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে চোরাই গাড়ির ছবি ও বিজ্ঞাপন দেন তাঁরা।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক প্রিটন সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আরিফ পেশাদার মোটরসাইকেল চোরচক্রের নেতা। তিনি নিজে চুরিতে অংশ নেন। যেসব মোটরসাইকেলের তালা থাকে না সহজে চুরির জন্য এগুলো বেছে নেন তাঁরা। কখনো নকল চাবি দিয়ে আবার কখনো গাড়ির স্টিয়ারিং ভেঙে চুরি করে।

চোরাই করা গাড়িটি হাটহাজারীতে রাখা হলে ফেনীর ক্রেতার সঙ্গে ওই গাড়ির বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা। যে এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল থাকে ওই এলাকার কোনো ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে হাজির করা হলেও তাঁরা সাংবাদিকদের সামনে কিছুই বলেননি।

সংবাদ ও ছবি কৃতজ্ঞতা: প্রথম আলো